ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার সামনে থেকে শনিবার (১লা ফেব্রুয়ারি) সকালে আয়োজিত আন্তধর্মীয় সম্প্রীতি শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হলো বিশ্ব আন্তধর্মীয় সম্প্রীতি সপ্তাহ- ২০২৫ এর উদযাপন। জাতিসংঘের ঘোষিত বিশ্ব আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সপ্তাহ (১-৭ই ফেব্রুয়ারি) উদযাপন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে এই সপ্তাহের আয়োজন করা হয়।
চলতি বছরের বিশ্ব আন্তধর্মীয় সম্প্রীতি সপ্তাহের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী নুরুল ইসলাম।
সকালে উদ্ভোধনী শোভাযাত্রাটি ঢাবির অপরাজেয় বাংলার সামনে থেকে কলাভবনের মূল ফটক হয়ে রাজু ভাস্কর্য প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে দিয়ে আবার অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ফিরে আসে।
এর আগে অপরাজেয় বাংলার সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে পৃথিবীর অনেক দেশ ভালোভাবে জানার আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ এটি উদযাপন করে আসছে বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক কাজী নুরুল।
তিনি বলেন, ‘একজন যদি মুসলমান পরিবারে জন্মায় তিনি মুসলিম, সনাতন ধর্মের পরিবারে জন্ম নিলে হিন্দু, একইভাবে বৌদ্ধ ও খ্রিষ্ট এবং অন্যান্য ধর্মের ক্ষেত্রেও তা–ই। কিন্তু ধর্ম যা-ই হোক, মানুষ হিসেবে আমরা সবাই এক।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবু সায়েমের সভাপতিত্বে এবং বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ফাদার তপন ডি রোজারিওর সঞ্চালনায় বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আয়োজনে অংশ নেন।
২০১০ সালে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ জাতিসংঘে মার্চ মাসের ১০ তারিখে এমন একটি সপ্তাহ পালনের প্রস্তাব দেন, যার মূল লক্ষ্য ছিল, সারা বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে কীভাবে সম্প্রীতি বাড়ানো যায়। প্রস্তাবটি জাতিসংঘে পাস হয়। জাতিসংঘের অনুমোদিত কোনো প্রস্তাব এভাবে বিনা বাধায় পাস হয়নি। সবাই এটাকে সমর্থন করে। ২০১১ সাল থেকে ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সপ্তাহ উদযাপিত হয়ে আসছে।’
হা.শা./কেবি
খবরটি শেয়ার করুন