ছবি: সংগৃহীত
অসীম অনন্ত প্রেমময় আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ ও অশ্রুসিক্ত আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমা। পবিত্র হজ্বের পর মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ তাবলিগ জামায়াতের নিজামুদ্দিন মারকাজের (সাদপন্থী) তত্ত্বাবধানে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব তথা ৫৮তম আয়োজন ছিল এটি।
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগপাড়ে বৃহস্পতিবার (১৩ই ফেব্রুয়ারি) শুরু হওয়া ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের তৃতীয় ধাপ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
রোববার (১৬ই ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ৩৭ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে ১টা ৭ মিনিটে শেষ হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলবীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।
৩০ মিনিট স্থায়ী আবেগঘন আখেরি মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, মুক্তি, সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা, ইহ ও পারলৌকিক কল্যাণ কামনা করে এবং বিভেদ ভুলে ঐক্যের আহবানে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে কাকুতি-মিনতি জানানো হয়।
সাদ অনুসারী তাবলীগ জামায়াতের বিশ্ব ইজতেমার সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম বলেন, রোববার ফজরের নামাজের পর বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় এবারের বিশ্ব ইজতেমার শেষদিনের আনুষ্ঠানিকতা। বাদ ফজর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা মোরসালিন। তার বয়ানের বাংলা তরজমা করেন মুফতি আজিম উদ্দিন।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ হেদায়েতের বয়ান শুরু করেন। যার বাংলা তরজমা করেন মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ। হেদায়েতের বয়ান শেষ হওয়ার পরই বেলা ১২টা ৩৭ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়।
মোনাজতে চোখের জলে সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য লাভ, পাপমুক্তি ও সুস্থতা কামনাসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হেদায়েত, ঐক্য, শান্তি, সমৃদ্ধি, ইহকাল ও পরকালের নাজাত এবং দ্বীনের দাওয়াত সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া সব ধরনের গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়।
মোনাজাত শেষে আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর ও ইজতেমা ময়দানের আশপাশ।
হা.শা/ আই.কে.জে/