ছবি: সংগৃহীত
বলিউডের সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ডের যোগাযোগ নতুন নয়। অনেক তারকারই কুখ্যাত সব গ্যাংস্টারের সঙ্গে যোগাযোগের কথা শোনা গেছে। কখনো আবার আলোচনায় এসেছে, বলিউড সিনেমায় মাফিয়া প্রযোজকের লগ্নির কথা। আবার কোনো নায়িকা আবার গ্যাংস্টারের প্রেমেও পড়েছেন। তথ্যসূত্র: বলিউডশাদিজডটকম।
মমতা কুলকার্নি
নব্বইয়ের দশকে দাপুটে উপস্থিতি ছিল তার। প্রথম ছবি ‘তিরঙ্গা’ সফল হওয়ার পরমুহূর্তেই জনপ্রিয়তা পান মমতা। তখন আন্ডারওয়ার্ল্ডের প্রভাব ছিল বলিউডে প্রকট। গুঞ্জন ছিল ডন দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহচর ছোট রাজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। ছোট রাজন দেশ ছাড়ার পর তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। ক্যারিয়ারের শীর্ষে থেকেও একসময় হঠাৎ অন্তরালে চলে যান মমতা।
পরে শোনা যায়—আন্তর্জাতিক চোরাকারবারি ভিকি গোস্বামীকে বিয়ে করেছেন তিনি। মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ২০১৭ সালে থানে পুলিশ তার ও স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। মমতার দাবি ছিল—তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক নন, যা কিছু আছে তা চলচ্চিত্রজীবনের উপার্জন।
মন্দাকিনি
রাজ কাপুর পরিচালিত ‘রাম তেরি গঙ্গা ময়লি’ ছবিতে অভিষেকেই মাত করেছিলেন মন্দাকিনি। কিন্তু তার সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের একটি ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। সেই ঘটনার পর থেকেই তার কর্মজীবন ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ে।
খ্রিষ্টধর্ম ছেড়ে পরে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। একজন সন্ন্যাসীকে বিয়ে করে সংসারজীবন বেছে নেন। এখন তিব্বতি যোগব্যায়ামের প্রশিক্ষক হিসেবে যুক্ত আছেন।
মনিকা বেদি
সালমান খান, সুনীল শেঠি ও গোবিন্দদের সঙ্গে কাজ করেও সবচেয়ে বেশি শিরোনামে আসেন তার প্রেমের জন্য। সঙ্গী ছিলেন কুখ্যাত ডন আবু সালেম। এমনকি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তাকে বিয়েও করেছেন—এমনটাই শোনা যায়।
১৯৯৮ সালে দুবাইয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রথম পরিচয়। প্রতিদিন কথা হতে হতে গভীর প্রেমে জড়িয়ে পড়েন দুজন। মনিকার কথায়—কখন যে ভালোবেসে ফেলেছিলেন, তিনি নিজেও বুঝতে পারেননি। কিন্তু সেই প্রেমের মূল্য ছিল ভয়ংকর। নকল পাসপোর্টে বিদেশে ঘোরার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন দুজনই। ভারতে প্রত্যর্পণের পর কারাগারে যেতে হয় তাদের। কয়েক বছর পর জামিনে মুক্তি পান মনিকা।
হিনা কাউসার
প্রখ্যাত পরিচালক কে আসিফের মেয়ে তিনি। আশির দশকে বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন; কিন্তু আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন যখন চোরাচালান ও মাদক ব্যবসায় বড় নাম ইকবাল মির্চিকে বিয়ে করেন। ১৯৯১ সালে তাদের বিয়ের খবর ছিল বলিউডের অন্যতম চর্চিত বিষয়।
সোনা মাস্তান মির্জা
হাজি মাস্তানের মন পড়ে গিয়েছিল কিংবদন্তি নায়িকা মধুবালার প্রতি। তাকে বিয়ে করতে চাইলেও তা সম্ভব হয়নি। পরে মধুবালার মতো দেখতে সোনাকে বিয়ে করেন তিনি। সেই বিয়ের পর সোনাও হয়ে ওঠেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
জেসমিন ধুন্না
সত্তরের দশকের শেষ দিকে সিনেমায় অভিনয় শুরু করেছিলেন। ‘ভিরানা’ মুক্তির পর তিনি রাতারাতি জনপ্রিয় হন। গুঞ্জন রয়েছে দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। তবে ১৯৮৮ সালের পর থেকে তিনি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ রয়েছেন। আজও তার কোনো সন্ধান নেই!
আনিতা আয়ুব
পাকিস্তানের পরিচিত মুখ আনিতা অল্প সময়ের জন্য বলিউডে কাজ করেন। পাশাপাশি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা ও বিজ্ঞাপনে ব্যস্ত ছিলেন; কিন্তু আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে তার সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্কের আগুন জ্বলে ওঠে।
খবর ছিল—এক চলচ্চিত্র নির্মাতা তাকে নায়িকা হিসেবে নিতে অস্বীকার করায় দাউদের লোকজন তাকে হত্যা করে। শোনা যায়, মুম্বাই বিস্ফোরণের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি।
খবরটি শেয়ার করুন 
                      
                                                
                                             
                                         
                                                         
                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                             
                                                     
                                                     
                                            