বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি, কেউ রক্ষা পাবে না : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, ২৯শে জুন ২০২৪

#

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি। সে যে-ই হোক দুর্নীতি করলে কারও রক্ষা নেই। যারাই দুর্নীতি করবে আমরা ধরব।' শনিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এটা কালো টাকা সাদা না। এখন সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। ঢাকায় যার এক কাঠা জমি আছে সে কয়েক কোটি টাকার মালিক। এইভাবে অনেক সময় কিছু করতে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ চলে আসে। সেটা তারা বাজেটে দেখাতে পারে না, আয়কর দিতে পারে না। আয়কর দিয়ে যাতে মূল জনগোষ্ঠিতে ফিরে আসে.. এ ধরণের কর্মকাণ্ড যাতে না করে সে জন্য মাঝে মাঝে এ ধরণের সুযোগ দেওয়া হয়। এই সুযোগ খালেদা জিয়া নিয়েছিল, ড. কামাল হোসেনসহ আরও অনেকেই নিয়েছিল।'

'তারা কিন্তু ২০০৬, ০৭, ০৮ বা পরবর্তীতে সুযোগ নিয়ে টাকা সাদা করেছিল। জেনারেল এরশাদ সাহেবও মনে হয় করেছে। খোঁজ নিতে হবে। তিনি না করলেও কেউ না কেউ করেছে। আমাদের বিরোধী দলীয় নেতা করছেন কিনা সেটা দেখতে হবে।'

তিনি বলেন, এমআরটি লাইন-১, লাইন-২, লাইন-৪ ও লাইন-৫ এর কাজ পর্যায়ক্রমে ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করলে ঢাকা শহরে আর যানজট বলে কিছু থাকবে না। মানুষ খুব আরামে চলাচল করতে পারবে। তাদের জীবন মান উন্নত হবে। সবগুলো বিভাগীয় শহরে মেট্রোরেল চালু করার পরিকল্পনা আছে আমাদের।

২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হবে। ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

সরকার প্রধান বলেন, আমি বাজেটকে মোটেই উচ্চাভিলাষী মনে করি না। লক্ষ্য আমরা স্থির করি। শতভাগ কখনো পূরণ হয় না, পূরণ সম্ভবও না। তারপরও আমাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে, এখানে যাব। সেখানে যেতে পেরেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ইচ্ছা দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন। সে জন্যই উন্নয়ন বাজেট। দেশের মানুষের যে উন্নয়ন করেছি সেই গতিধারাটা যাতে অব্যাহত থাকুক, সে লক্ষ্য নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করেছি, বাজেট দিয়েছি।

তিনি বলেন, ঋণের চাহিদা, অর্থের যোগান, ব্যাংক আর গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সুদ নির্ধারণের পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপকে ফলপ্রসূ করতে রাজস্ব নীতিতে সংকোচন নীতি অবলম্বন করা হয়েছে। যার প্রতিফলন এ বাজেটে রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কম গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যয় কমিয়ে আনার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিয়েছি। এ কারণে ২০২৪-২৫ অর্থবছর নাগাদ মূল্যস্ফীতি আরও নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হব। তাই উৎপাদন বাড়াতে হবে, সরবরাহ বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি তার ফল বাজারে দ্রুত পড়বে। আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী হ্রাস করতে পারব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বর্তমানে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এই ভর্তুকি ধীরে ধীরে কমাতে হবে। এ খাতে আমরা কেন ভর্তুকি দেব? দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে যেটা করার দরকার যেটা করব। যে যত বেশি ব্যবহার করবে তাকে উৎপাদনের খরচটা অবশ্যই দিতে হবে। তবে আমরা হঠাৎ করে এটা করছি না। সহনশীল করে ধীরে ধীরে এটা করা হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবস্থা আমরা করছি।

আই.কে.জে/


প্রধানমন্ত্রী

খবরটি শেয়ার করুন