শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** চুক্তি হয়ে গেলে আমেরিকার অনুমতি সাপেক্ষে গোপনীয়তার বিষয়টি প্রকাশ করা হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা *** বৃত্তি পরীক্ষা আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে *** ৩ বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস *** মায়ামির সঙ্গে কী নতুন চুক্তি করবেন মেসি, যা বলছেন কোচ *** ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে *** মাইকেল জ্যাকসনের মোজা বিক্রি হলো ১০ লাখ টাকায় *** ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা স্লোভেনিয়ার *** জুলাই হত্যাকাণ্ডে নিহত ১১৪ জনের মরদেহ তোলা হবে রায়েরবাজার গণকবর থেকে *** জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত, প্রকাশ ৫ই আগস্ট *** টটেনহাম ছেড়ে মেসিদের লিগে যাচ্ছেন সন

আমাজন গোষ্ঠীর পর্নো আসক্তি নিয়ে প্রতিবেদন, এরপর যা ঘটল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:২৯ অপরাহ্ন, ২৪শে মে ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

আমাজনের একটি আদিবাসী গোষ্ঠী আমেরিকার সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস-এর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছে। সম্প্রদায়টির অভিযোগ, হাই-স্পিড ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাওয়ার পর নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে তাদের সমাজকে ‘পর্নোগ্রাফি আসক্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

মানহানির মামলায় বলা হয়েছে—আমেরিকান সংবাদপত্র মারুবো গোষ্ঠীকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছে, যেন তারা ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রাথমিক সুযোগই নিতে অক্ষম এবং তরুণ প্রজন্ম পর্নোগ্রাফিতে ডুবে গেছে। খবর বিবিসির।

মামলাটিতে আমেরিকান অপর দুটি মাধ্যম টিএমজেড ও ইয়াহু নিউজকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ দুটি মাধ্যমের বিরুদ্ধ অভিযোগ, তাদের প্রকাশিত সংবাদের ভাষা মারুবো তরুণদের উপহাস করে এবং তাদের সংস্কৃতিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে।

নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে, তাদের প্রতিবেদনে কোথাও বলা হয়নি যে, মারুবো সম্প্রদায়ের কেউ পর্নে আসক্ত। আর টিএমজেড ও ইয়াহু নিউজের কাছ থেকে অভিযোগের বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিবিসি জানিয়েছে, প্রায় ২ হাজার সদস্যবিশিষ্ট মারুবো আদিবাসী গোষ্ঠী কমপক্ষে ১৮ কোটি আমেরিকান ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা) ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছিল—ইলন মাস্কের ইন্টারনেট সেবা ‘স্টারলিংক’ চালু হওয়ার মাত্র ৯ মাসের মধ্যেই মারুবো গোষ্ঠী ‘আমেরিকান পরিবারগুলোর দীর্ঘদিনের সমস্যার’ মুখোমুখি হয়েছে। বিশেষ করে, মোবাইল ফোনে আসক্ত কিশোর-কিশোরী, সহিংস ভিডিও গেমস এবং নাবালকদের পর্নোগ্রাফি দেখার মতো সমস্যাগুলো।

প্রতিবেদনটিতে ওই সম্প্রদায়ের এক নেতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল, তিনি ইন্টারনেটের প্রবল সমালোচক এবং পর্নোগ্রাফির বিষয়টি তাকে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন করেছে। তরুণদের মধ্যে আগ্রাসী যৌন আচরণের ঘটনা বাড়ছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

তবে একই প্রতিবেদনে ইন্টারনেটের ইতিবাচক দিকও তুলে ধরা হয়, যেমন—স্বাস্থ্য সমস্যা বা পরিবেশগত ধ্বংসের ক্ষেত্রে দ্রুত প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ এবং দূরবর্তী আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন সম্ভব হচ্ছে।

মামলায় অভিযোগ, টিএমজেডসহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনকে অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করেছে। টিএমজেড একটি প্রতিবেদনের শিরোনামে সরাসরি পর্নোগ্রাফি আসক্তির কথা উল্লেখ করেছে।

প্রতিক্রিয়ার মুখে মূল প্রতিবেদনটি প্রকাশের এক সপ্তাহ পর নিউইয়র্ক টাইমস অবশ্য এ বিষয়ে আরও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সেই প্রতিবেদনটির তারা শিরোনাম করে—‘না, প্রত্যন্ত আমাজন গোষ্ঠীটি পর্নে আসক্ত হয়নি।’

তবু মামলায় দাবি করা হয়েছে, মূল প্রতিবেদনেই মারুবো গোষ্ঠীকে এমনভাবে চিত্রিত করা হয়েছে, যেন তারা ইন্টারনেটের প্রাথমিক ব্যবহার সামাল দিতে অক্ষম এবং তাদের তরুণরা পর্নে নিমজ্জিত।

এইচ.এস/

আমাজন গোষ্ঠী

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন