রবিবার, ১৯শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** একের পর এক অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জরুরি বৈঠক *** জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি *** আন্দোলনের জবাবে ট্রাম্প বললেন, ‘আমি রাজা নই’ *** পুঁজিবাজার চাঙা করতে আইসিবিকে ১০০০ কোটি টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা *** অগ্নিনির্বাপণে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে, দাবি উপদেষ্টার *** নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকেরা *** দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ *** ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকির পর ভারতকে পারমাণবিক বোমার ভয় দেখালেন আসিম মুনির *** এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে: হাসনাত আবদুল্লাহ *** দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি পেল বিএনপি, অপেক্ষায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স

জাপানে ১৪ বছরের কম বয়সীর সংখ্যা এবার ইতিহাসের সর্বনিম্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:১৭ অপরাহ্ন, ৫ই মে ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

জাপানে শিশু জনসংখ্যা টানা ৪৪ বছর ধরে কমছে। এবার শিশু দিবস উপলক্ষে দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যে এ চিত্র দেখা গেছে। নতুন তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১লা এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার, যা আগের বছরের তুলনায় ৩ লাখ ৫০ হাজার কম!

এ অবস্থায় বর্তমানে জাপানের শিশুদের সংখ্যা দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ১১ দশমিক ১ শতাংশ—যা দেশটির ইতিহাসে সর্বনিম্ন। খবর সিএনএনের।

অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, ২০২৩ সালে আমেরিকায় শিশু জনসংখ্যা ছিল দেশটির মোট জনসংখ্যার ২১ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে চীনে এ পরিসংখ্যান ছিল ১৭ দশমিক ১ শতাংশ।

এ বিষয়ে আজ সোমবার (৫ই মে) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপান বর্তমানে ভয়াবহ জনমিতিক সংকটের মুখোমুখি। দেশটিতে একদিকে জন্মহার ক্রমাগত কমছে, অন্যদিকে দ্রুত বেড়ে চলেছে বয়স্ক জনসংখ্যা। দেশটির গড় প্রজনন হার দীর্ঘদিন ধরেই ১ দশমিক ৩-এর আশপাশে অবস্থান করছে। একটি স্থিতিশীল জনসংখ্যা বজায় রাখতে কোনো দেশের গড় প্রজনন হার অন্তত ২ দশমিক ১ হওয়া উচিত।

২০২৪ সালে জাপানে মৃত্যু হয়েছে ১৬ লাখ ২০ হাজার মানুষের—যা জন্মের সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি। জন্মহার কমে যাওয়ার জন্য অনেক সময় দেশটির বিয়ের হারকেও দায়ী করা হয়। তবে দেশটিতে বিয়ের সংখ্যা সামান্য বেড়েছে। সংখ্যার দিক থেকে এটি খুবই কম, মাত্র ১০ হাজার। অন্যদিকে বিচ্ছেদের হারও বেড়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান জনসংখ্যা কাঠামোর কারণে জাপানে এ সংকট আগামী কয়েক দশক ধরে অব্যাহত থাকবে এবং তা অনেকটাই অপরিবর্তনীয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে দেশটিতে ২০ শতাংশের বেশি মানুষ ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে। এ পরিসংখ্যান দেশটিকে একটি ‘সুপার-এজড’ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ২০২৪ সালে দেশটির মোট জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৩৪ লাখ, যা ২০৬৫ সালের মধ্যে কমে ৮ কোটি ৮৮ লাখে নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

যৌনজীবন ও পরিবার গঠনে আগ্রহ কমার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে জীবনযাত্রার উচ্চ খরচ, মন্দা অর্থনীতি ও মজুরি, সীমিত আবাসন সুবিধা এবং কর্মস্থলের কঠোর সংস্কৃতি উল্লেখযোগ্য।

জাপানে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা একটি স্বাভাবিক বিষয়। বিভিন্ন খাতে কর্মরত তরুণরা দীর্ঘ সময় কাজ ও দপ্তরের চাপে থাকায় পরিবার গঠন নয়, বরং ক্যারিয়ারেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন।

এইচ.এস/

জাপান

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250