শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাম না পেয়ে গরুর চামড়া রান্না করে খেয়েছেন অনেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১০:৫১ অপরাহ্ন, ১৯শে জুন ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা এবার আকারভেদে গরুর চামড়া কিনেছেন ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। এই চামড়ার দাম এক হাজার টাকার বেশি হওয়া উচিত ছিল বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। সরকার চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিলেও ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সেই দাম দেননি। দাম না পেয়ে চামড়া নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে রান্না করে খেয়েছেন অনেকেই। অনেকেই মাদরাসা ও এতিমখানায় চামড়া দান করেছেন।

গত ৩ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা আর ঢাকার বাইরে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। কিন্তু নির্ধারিত এ দামে চামড়া বেচাকেনা হয়নি। 

খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও ব্যবসায়ীরা ১০ থেকে ২৫ টাকায় কিনেছেন প্রতিটি চামড়া।

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার মাছুয়াখালী গ্রামে দফাদার বাড়িতে দুটি গরু কোরবানি করা হয়েছে। প্রতিটি গরুতে সাতজন করে অংশীদার ছিলেন। চামড়ার দাম না পেয়ে অংশীদাররা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন।

অংশীদারদের একজন লিয়াকত মৃধা বলেন, 'স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চামড়ার দাম মাত্র দেড়শ টাকা বলেছেন। যে চামড়া ছাড়িয়েছে তার মজুরি ৪০০ টাকা। তাই আমরা চামড়া নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছি। সবাই চামড়া রান্না করে খেয়েছে।' তিনি আরও জানান, গরুর চামড়া রান্না করে খেতে বেশ স্বাদ লাগে। 

আরেক অংশীদার ইউসুফ মৃধা বলেন, 'গত কয়েক বছর ধরেই আমরা কোরবানির পশুর চামড়ার দাম পাই না। এবার ৮৭ হাজার টাকায় কেনা গরুর চামড়ার দাম উঠেছে ২০০ টাকা। তাই আমরা চামড়া বিক্রির ঝামেলায় যাইনি। চামড়া নিজেদের মধ্যে ভাগ করে রান্না করে খেয়েছি।' দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোসহ বিভিন্ন জায়গা থেকেও চামড়া বিক্রি না করে রান্না করে খাওয়ার খবর এসেছে।

দশমিনায় প্রতি বছরই মৌসুমি ব্যবসায়ী হিসেবে চামড়া কেনেন নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, চামড়ার দাম নেই। দেড়শ থেকে ৩০০ টাকায় গরুর চামড়া কিনেছি। সরকার নির্ধারিত দামে আমরা বিক্রি করতে পারি না। 

আই.কে.জে/ 

গরুর চামড়া

খবরটি শেয়ার করুন