সোমবার, ২১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** প্রতি রাতে স্ত্রীর পা ছুঁয়ে কৃতজ্ঞতা জানান রবি কিষাণ *** গোপালগঞ্জে নিহত ৩ জনের লাশ উত্তোলনের নির্দেশ আদালতের *** ওএমএসে আলু বিক্রি করতে চায় সরকার *** ১০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে: আলী রীয়াজ *** জুলাই যোদ্ধাদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা থাকছে না *** কুমিল্লা বোর্ডে স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা ১২ই আগস্ট *** এবার তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে ডিসিদের চিঠি *** ৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫২০৬ *** খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত নেতানিয়াহু *** বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক: গোপালগঞ্জে প্রশাসন চাইলে রক্তপাত এড়ানো যেত

চাল নিয়ে মজা করে মন্ত্রিত্ব গেল জাপানের কৃষিমন্ত্রীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, ২২শে মে ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

আমি এত চাল উপহার পাই যে আমার কেনার দরকার হয় না— কিছুটা মজার ছলে হাসতে হাসতে এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেছিলেন জাপানের কৃষিমন্ত্রী। তিনি ভেবেছিলেন বাকিরাও মজা পাবেব। কিন্তু হলো হিতে বিপরীত। দেশজুড়ে যখন জীবনযাত্রার ব্যয় উচ্চ, চালের দাম বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণ, তখন কৃষিমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন মজা নিতে পারেননি জাপানের মানুষ। তীব্র ক্ষোভের মুখে কৃষিমন্ত্রী তাকু ইতোকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।

চাল জাপানে রাজনীতিতে বেশ স্পর্শকাতর বিষয়। চাল সংকটের কারণে দেশটিতে বড় বড় রাজনৈতিক বিপর্যয়ের নজির আছে। ১৯১৮ সালে চালের দামবৃদ্ধি ঘিরে ব্যাপক দাঙ্গার ধারাবাহিকতায় সরকারে পতন ঘটে। খবর বিবিসির।

এবার কৃষিমন্ত্রীর পদত্যাগের ফলে চাপের মুখে পড়ল প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সংখ্যালঘু সরকার। চালের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে এমনিতে জনপ্রিয়তা কমছিল সরকারের। কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য সরকারকে সংকটে ফেলে দিল।

জাপানে চালের হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ সংকট রয়েছে বলে জানান ইবারাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতিবিদ কুনিও নিশিকাওয়া। তবে সরকারের দিক থেকে চাহিদার ভুল হিসাবকে প্রধান কারণ হিসাবকে দায়ী করেন তিনি।

১৯৯৫ সাল পর্যন্ত জাপান সরকার কৃষি সমবায়গুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতো। চাহিদা হিসাব করে চালের উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হত। কিন্তু পরে এ সংক্রান্ত আইন বাতিল হয়। তখন কৃষি মন্ত্রণালয় একাই চালের চাহিদা হিসাব করে লক্ষ্য নির্ধারণ করত।

নিশিকাওয়া বলছেন, সমন্বয়হীনতার কারণে ২০২৩ ও ২৪ সালে জাপানের সরকার চালের প্রকৃত চাহিদার হিসাব ভুল ধরেছে। সরকার অনুমান করেছিল চালের চাহিদা হবে ৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন, কিন্তু বাস্তবে তা ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৫ মিলিয়ন টন। এদিকে প্রকৃত উৎপাদন হয়েছে অনুমানেরও কম— মাত্র ৬ দশমিক ৬১ মিলিয়ন টন।

চালের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ খুঁজে বের করেছেন বিশ্লেষকরা। জাপানে চালের দাম বেশ বেড়ে যায় করোনার পর। অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতির কারণে কম দামি খাবার চালের চাহিদা বেড়ে যায়। এছাড়া বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা বৃদ্ধিও চালের চাহিদা বাড়ার কারণ। সব মিলে বেশ বেড়েছে চালের দাম।

এইচ.এস/

জাপান

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন