ছবি: সংগৃহীত
গাজা ইস্যুতে মিসরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আমন্ত্রণ জানানোর শেষ মুহূর্তের পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জানিয়ে দেন—নেতানিয়াহু আমন্ত্রিত থাকলে তার বিমান শারম আল শেখে অবতরণ করবে না।
গতকাল সোমবার (১৩ই অক্টোবর) সকালে ট্রাম্প মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে ফোনে কথা বলে নেতানিয়াহুর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেন। পরে জানা যায়, এরদোয়ান বিমানে বসেই আল-সিসিকে ফোন করে তার আপত্তির কথা জানান। এরপরই নেতানিয়াহুর সফর বাতিল হয়।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ট্রাম্পের আমন্ত্রণে নেতানিয়াহু মিসরের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে ধর্মীয় উৎসব ঘনিয়ে আসায় তিনি যেতে পারবেন না বলে জানান।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ মিসরে অনুষ্ঠিতব্য এক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পকে এই আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন, তবে উৎসবের সময় ঘনিয়ে আসায় তিনি অংশ নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।’
নেতানিয়াহুর ডানপন্থি জোটের কয়েকজন মন্ত্রীও সতর্ক করেছিলেন, তিনি যদি এই সম্মেলনে যোগ দেন, তবে তারা পদত্যাগ করবেন।
গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইতোমধ্যে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। যদিও মিসর আইসিসির সদস্য নয়, তার উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতো—বিশেষ করে সেসব আরব দেশে, যারা এখনো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেনি।
বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশের নেতা অংশ নেওয়ার কথা ছিল এই জরুরি সম্মেলনে। ঘটনাটি দেখিয়ে দিল, ট্রাম্প যতই চান না কেন, মুসলিম দেশগুলোর পক্ষে এখনো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা কঠিন।
তুরস্কে এরদোয়ানের জনপ্রিয়তা ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। তাই নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার করমর্দন বা আলোচনার ছবি প্রকাশ পেলে তা দেশটির রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলত।
এরদোয়ান বারবার বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার শামিল।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন
