শুক্রবার, ১৭ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ছেঁউড়িয়ায় লালন স্মরণোৎসব শুরু হচ্ছে আজ *** জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা *** ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তরের মানুষ... *** সব গণমাধ্যমকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** ‘লং মার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি দিলেন শিক্ষকরা *** জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুক্রবারই, বাদ পড়লে পরেও স্বাক্ষর করা যাবে: আলী রীয়াজ *** সাবেক বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা *** সাত কলেজ নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা *** এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা *** আগামীকাল স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে ‘জাতীয় জুলাই সনদ, ২০২৫’

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মদিন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৪

#

দেশের আধুনিক চিত্রকলার পথিকৃৎ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১১০তম জন্মদিন আজ ২৯শে ডিসেম্বর (রোববার)। ১৯১৪ সালের এই দিনে বৃহত্তর ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ জেলার কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত এ বাঙালি চিত্রশিল্পী। দিনটিকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে চলছে তিন দিনের জয়নুল উৎসব। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করবে আজ।

বাংলাদেশে চারুকলার চর্চা ও আন্দোলনের দিশারি বিরল প্রতিভার অধিকারী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বাবা তমিজউদ্দীন আহমেদ ও মা জয়নাবুন্নেছা। শৈশব থেকেই ছবি আঁকার প্রতি ছিল তার প্রবল ঝোঁক। রংতুলির খেলায় ফুল-ফল, বৃক্ষ, লতাপাতা, মাছ, পাখিসহ নানা বিষয়কে মেলে ধরতেন ক্যানভাসে। আর এই ছবি আঁকার টানেই ১৯৩৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেন কলকাতায়। সেখানে ভর্তি হন গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টসে। ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত এখানেই চলে শিল্পাচার্যের চারুশিক্ষার দীক্ষা।

১৯৩৮ সালে ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে অর্জন করেন স্নাতক ডিগ্রি। ততদিনে শিল্পী হিসেবেও শিল্পরসিকদের স্বীকৃতি অর্জন করে নেন। এরপর তিনি চলে আসেন ঢাকায়। জয়নুল আবেদিনের হাত ধরেই বিকশিত হয় এ দেশের চারুশিল্প মাধ্যম। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকা আর্ট কলেজ (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ)। ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরণায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রতিষ্ঠা করেন লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। ১৯৭২ সালে তিনি বাংলা একাডেমির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় অধ্যাপক নিযুক্ত হন এবং আমৃত্যু এ পদে অধিষ্ঠিত থাকেন।

জয়নুল আবেদিন ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ নিয়ে এঁকেছেন দুর্ভিক্ষের রেখাচিত্র। ১৯৬৯ সালে তার ক্যানভাসে উঠে এসেছে গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট। ১৯৭০ সালে এঁকেছেন ৬৫ ফুট দীর্ঘ বিখ্যাত চিত্রকর্ম নবান্ন। একই বছর মনপুরা নামে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের হৃদয়স্পর্শী চিত্র সৃজন করেছেন। শিল্পীর এসব কালজয়ী শিল্পকর্ম দেশের সীমা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পেয়েছে ব্যাপক প্রশংসা ও স্বীকৃতি। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৭৬ সালের ২৮শে মে ৬১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন।

আই.কে.জে/   


শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250