ছবি: সংগৃহীত
শুল্ক কমানোয় নতুন করে ভারত থেকে আলু আমদানির প্রস্তুতি নিয়েছেন দেশের আমদানিকারকরা। ইতোমধ্যেই আবেদনের প্রেক্ষিতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের ১২জন আমদানিকারক ১৫হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। খুব দ্রুতই আলু আমদানি শুরু হতে পারে এতে দেশে আলুর দাম কমে আসবে দাবি বন্দরের আমদানিকারকদের।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতের নির্ধারিত আলুর দাম ও শুল্ক অনুযায়ী আমদানি করলে কোনো লাভ থাকে না। তাই বন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ রেখেছিলেন আমদানিকারকরা। সম্প্রতি সরকার আলু আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক হার কমিয়ে দিয়েছে। যার কারণে ইতোমধ্যেই আমরা ভারতীয় রফতানিকারকদের সাথে আলুর বিষয়ে কথা বার্তা বলেছি এর দাম নিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি।
বর্তমানে ভারতের বাজারে যে আলুর দাম রয়েছে তাতে করে গাড়ি ভাড়া দিয়ে দেশে এসে ৩৫ থেকে ৩৬টাকার মত পড়তে পারে। দেশের বাজারে আমদানিকৃত আলু ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে পারে। ইতোমধ্যেই আলু আমদানির অনুমতি চেয়ে আমদানিকারকরা আবেদন করেছেন। কেউ কেউ আইপি হাতে পেয়েছেন তারা এলসি খোলার প্রস্তুতি নিয়েছেন তাতে করে খুব শীঘ্রই আলু আমদানি শুরু হতে পারে।
বন্দরের অনেক আমদানিকারক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন আলু আমদানির জন্য। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হতে পারে। আর আলু আমদানি শুরু হলে দেশের বাজারে আলুর সরবরাহ যেমন বাড়বে তেমনি দাম কমে আসবে।
আরও পড়ুন: আর্থিক খাত সংস্কারে ১০০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারি সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, আলু আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও শুল্ক বেশী থাকার কারণে পড়তা না থাকায় আমদানিকারকরা আমদানি বন্ধ রেখেছেন। সম্প্রতি দেশের বাজারে আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুল্কহার কমিয়েছে সরকার। এরপর থেকেই আমদানিকারকরা নতুন করে আলু আমদানির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। অনেকেই আইপি চেয়ে আবেদন করেছেন। এখন পর্যন্ত বন্দরের ১২ জন আমদানিকারক ১৫হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। এছাড়া পুর্বের যাদের আইপি রয়েছে সেগুলোর মেয়াদ বাড়িয়ে নিচ্ছেন আমদানিকারকরা। আশা করছি খুব দ্রুতই বন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু হতে পারে।
প্রসঙ্গত,দেশের বাজারে আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে গত ৫ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আলু আমদানির উপর বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ কর হয়েছে। এছাড়াও ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার।
এসি/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন