প্রতীকী ছবি
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কুয়াকাটার বাসিন্দারা। সেজন্য পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় অবস্থানরত সব পর্যটক ও স্থানীয়দের নিরাপদ আশ্রয়ে সকল আবাসিক হোটেল গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে থাকা যেকোনো পর্যটক অথবা স্থানীয়রা কুয়াকাটার যে কোনো হোটেলে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারবে।
রোববার (২৬শে মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুয়াকাটা হোটেল মোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মোতালেব শরীফ।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, উপকূলবর্তী এলাকা হওয়ায় প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। তাই উপকূলের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে কুয়াকাটার বহুতল আবাসিক হোটেলগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়া হয়। প্রতিবারের মতো এবারও সকল আবাসিক হোটেল গুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কলাপাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইলেকট্রনিক প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এন্ড পিবিও আব্দুল জব্বার শরীফ গণমাধ্যমকে বলেন, নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রেমালে রূপ নেওয়ার পর থেকেই বেড়েছে বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা। সকাল থেকে ভারী বর্ষণ, বাতাস ও সাগর নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সবাইকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমাল: সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে জানান, এই মুহূর্তে কুয়াকাটা অবস্থানরত সকল পর্যটকদের নিরাপত্তার নিশ্চিত করেছি আমরা। পাশাপাশি কুয়াকাটার সকল আবাসিক হোটেল গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করার পর থেকে, সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য আমরা মাইকিং করছি। সার্বিক পরিস্থিতির মোকাবেলায় টুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। কন্ট্রোল রুম, মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হলে দ্রুত গাছ অপসারণের জন্য আলাদাভাবে ফায়ার সার্ভিস এবং স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হবে। এছাড়া বঙ্গোপসাগর পার্শ্ববর্তী পর্যটন নাগরিক কুয়াকাটার সকল আবাসিক হোটেল গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
এইচআ/