ছবি: সংগৃহীত
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সাতক্ষীরার সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয় নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত তিন-চার ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূলের ভঙ্গুর বেড়িবাঁধে বড় আকারের ঢেউ আছড়ে পড়ছে।
উপকূল রক্ষা বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে উপকূলের বাসিন্দারা রোববার (২৬শে মে) সারাদিন বাঁশ ও বস্তা দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেছেন। তবে দিনভর কাজ করেও বেড়িবাঁধ ঠেকানো নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা।
শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের মালেক গোলাম হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, সারাদিন বাঁশ ও বস্তা দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকার মানুষ বেড়িবাঁধ রক্ষায় কাজ করছে। বহু মানুষ উৎকণ্ঠা নিয়ে বেড়িবাঁধের রাস্তায় ওপর দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের আশঙ্কা, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে গ্রামের সামনের ছোট্ট নিচু বেড়িবাঁধটি উপচে কিংবা ভেঙে লোনাপানিতে পুরো এলাকা ভেসে যাবে।
আরো পড়ুন: রাজধানীতে বইছে দমকা হাওয়া, ঝরছে বৃষ্টি
গাবুরা ইউনিয়নের হুদা মালী গণমাধ্যমকে বলেন, চরম আতঙ্কের মধ্যে আছি। সত্যি সত্যি যদি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে নদীতে ৮-১০ ফুট পানি বাড়ে, তবে পুরো এলাকা লবণপানিতে ভেসে যাবে। তলিয়ে যাবে মাছের ঘের। গাবুরার মানুষ ঝড় নিয়ে খুব বেশি ভয় পায় না, ভয় পায় বাঁধ নিয়ে। বোরবার মধ্যরাতে নদীতে জোয়ার হবে। তখন পানি বেড়ে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দুর্গবাটি গ্রামের বাসিন্দা গোলাম হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, গ্রামের ৫০ জনের বেশি মানুষ বাঁধ রক্ষার কাজ করছে। ঢেউ ও স্রোতের তীব্রতা থেকে উপকূল রক্ষা বাঁধের ক্ষতি এড়াতে এলাকার মানুষ বাঁধের বাইরের অংশে জিও শিট (জিও ব্যাগের কাপড়) লাগানো হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাঁধ রক্ষায় তারা মাটি ফেলাসহ জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শেষ করেছেন। স্বাভাবিকের তুলনায় ৭-৮ ফুট পর্যন্ত জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলেও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
শ্যামনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিবুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, শনিবার (২৫শে মে) রাত থেকেই মাইকিং করে স্থানীয়দের নিরাপদে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
এইচআ/