রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২০শে বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** প্রাথমিকে আবার চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা: গণশিক্ষা উপদেষ্টা *** মতবিরোধ ভুলে রাজপরিবারের সঙ্গে আবারও এক হতে চান প্রিন্স হ্যারি *** খালেদা জিয়া কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশে ফিরবেন *** অস্ট্রেলিয়ায় লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ বিজয়, আবারও ক্ষমতায় আলবানিজ *** ঐকমত্য কমিশনের বেতন-ভাতা নেবেন না ড. ইফতেখারুজ্জামান *** সৌদি আরব গেলেন ৬৭ হাজার হজযাত্রী *** চট্টগ্রামের শাহ আমানত থেকে হজ ফ্লাইট শুরু *** রাইড শেয়ারিং চালকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতির সুপারিশ শ্রম সংস্কার কমিশনের *** সিলেট বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবে বিএনপি *** ‘মানবিক করিডোর’ বিতর্ক, কোন পথে বাংলাদেশ?

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস

গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের সব কালো আইন বাতিলের দাবি ডিআরইউর

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, ৩রা মে ২০২৫

#

স্বাধীন গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের জন্য করা সব কালো আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় শুক্রবার (২রা মে) কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এ দাবি জানান।

মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের দাবিতে প্রতি বছর ৩রা মে বিশ্বজুড়ে ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ পালিত হয়। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) প্রতিবছর ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্য থেকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক প্রকাশ করে। 

আরএসএফের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ সাল থেকে এ সূচক প্রকাশ করছে সংগঠনটি। চলতি বছর ১৬৫ থেকে ১৪৯তম অবস্থানে এসেছে বাংলাদেশ।

ডিআরইউর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের উন্নতি খুবই আশাব্যঞ্জক খবর। আমাদের আরও উন্নতির জায়গা রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে নানা ধরনের ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যেও বাংলাদেশের সাংবাদিকতার বিকাশ ঘটেছে। 

তারা বলেন, এ সময় সংবাদ সংগ্রহ, পরিবেশন, প্রচার, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সাংবাদিকদের সক্ষমতার ক্ষেত্রে গুণগত অনেক পরিবর্তন এসেছে। এ পরিবর্তনের সঙ্গে সংগতি রেখে কোনো প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় কোনো কার্যকর কাঠামো গড়ে ওঠেনি। যার ফলে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকতার ঝুঁকি একটুও কমেনি।

তারা বলেন, আগে থেকে দাঙ্গা-বিক্ষোভে কখনো পুলিশ, কখনো বিবদমান পক্ষের হাতে সাংবাদিকরা মার খাচ্ছেন। মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন। গুম বা অপহরণের শিকার হচ্ছেন; এমনকি হত্যার শিকার হচ্ছেন। রেহাই পাচ্ছেন না সম্পাদকরাও।

আবু সালেহ আকন ও মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী কিছু আইন। দেশের সংবিধানে মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেওয়া হলেও অনেক আইন রয়েছে, যা সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধে ব্যবহৃত হয়। 

সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধে আইন থাকলেও তাদের সুরক্ষার কোনো আইন নেই। কালো আইন রেখে স্বাধীন সাংবাদিকতা আশা করা যায় না। গণমাধ্যমের কালো আইন বাতিল ও স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে ইউনেসকোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ অনুসারে ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩রা মে'কে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমকর্মীরা দিবসটি পালন করছেন।

সাংবাদিকতার স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় দিবসটিতে।

এইচ.এস/

ডিআরইউ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন