ছবি: সংগৃহীত
শ্রম সংস্কার কমিশন দেশে রাইড শেয়ারিং চালকদের শ্রমিক হিসেবে তাদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, শ্রম অধিকার, ন্যায্য মজুরির স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে। এর পাশাপাশি একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিষ্ঠারও সুপারিশ করা হয়।
এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে শ্রম সংস্কার কমিশন। এসব সুপারিশ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া বিশেষ মজুরি কাঠামো নির্ধারণ ও কোম্পানিগুলোর কমিশন হার যৌক্তিক পর্যায়ে কমানো কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এদিকে শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাইড শেয়ারিং, গিগ বা প্ল্যাটফর্ম অর্থনীতি খাতের বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী শ্রমিক সুরক্ষা, মজুরি ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এর আগে এ সেবাকে জনবান্ধব করার লক্ষ্যে সরকার ‘রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা ২০১৭’ করেছিল।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাব অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে দেশি-বিদেশি ১৫টি রাইড শেয়ারিং কোম্পানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে দেশে রাইড শেয়ারিংয়ের মূল বাজার কার্যত তিনটি কোম্পানির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যেখানে রাইড শেয়ারিং সেবা দিচ্ছেন লাখের কাছাকাছি।
তবে রাইড শেয়ারিং সেবা নিয়ে অসংখ্য অভিযোগের মধ্যে অন্যতম বড় অভিযোগ—চালকেরা অ্যাপের মাধ্যমে না গিয়ে সরাসরি দর-কষাকষির মাধ্যমে ভাড়া নির্ধারণ করেন। এ ছাড়া রাইড শেয়ারিং কোম্পানি চালকদের কাছ থেকে কমিশন বেশি নেয় বলে তারা দাবি করেন।
আরএইচ/
খবরটি শেয়ার করুন