ছবি: সংগৃহীত
দশ বছর আগে ২০১৫ সালে সিএনএনের ‘হিরো অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছিলেন ম্যাগি ডয়েন। নিজের বেবিসিটিং করে জমানো টাকায় কেনা ছোট্ট একখণ্ড জমিতে তিনি গড়ে তুলেছিলেন নেপালের দরিদ্র ও এতিম শিশুদের জন্য আশ্রয়, শিক্ষা ও আশার কেন্দ্র ‘ব্লিঙ্কনাউ ফাউন্ডেশন’। খবর বিবিসির।
৩৮ বছর বয়সী ম্যাগি বলেন, ‘শিশুরা যেন ভালোভাবে বাঁচতে পারে, এ জন্য এটি আসলে একটি সম্প্রদায়ের যৌথ স্বপ্ন।’ নেপালের সুরখেতে এক যুদ্ধবিধ্বস্ত শিশুর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর থেকেই শুরু তার পথচলা। বর্তমানে তিনি ৯৩টি শিশুর অভিভাবক।
বাঁশের ঘরে শুরু হওয়া তাঁর ‘কোপিলা ভ্যালি স্কুল’ এখন আধুনিক ভবনসহ প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এখানে পড়ছে। এখন স্কুলের পাশাপাশি রয়েছে চারতলা শিশুগ্রাম, মানব পাচার ও সহিংসতার শিকার মেয়েদের জন্য আলাদা আশ্রয়কেন্দ্র, নারী কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও একটি পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাকেন্দ্র। প্রায় ১৭৫ জন শিক্ষক ও কর্মী নিয়ে ম্যাগির দল নেপালে কাজ করছে দারিদ্র্য দূরীকরণে।
তার জীবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে প্রামাণ্যচিত্র ‘বিটুইন দ্য মাউন্টেন অ্যান্ড দ্য স্কাই’। তার বার্তা ‘যা পারেন করুন। প্রতিটি কাজই পৃথিবীকে বদলে দেয়।'
প্রসঙ্গত, 'বিটুইন দ্য মাউন্টেন অ্যান্ড দ্য স্কাই' তথ্যচিত্রে ম্যাগির অনাথ শিশুদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র, স্কুল নির্মাণ এবং নারীর ক্ষমতায়নের প্রোগ্রাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এবং এর পরে তার জীবনে আসা এক গভীর ট্র্যাজেডি ও তা থেকে উত্তরণের অনুপ্রেরণাদায়ক গল্প তুলে ধরা হয়েছে।
এই তথ্যচিত্রে ভালোবাসা, শোক, প্রতিকূলতার মুখে টিকে থাকা এবং আশা খুঁজে পাওয়ার মতো বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তথ্যচিত্রটি নিয়ে একটি বইও প্রকাশিত হয়েছে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন