ছবি : সংগৃহীত
নাসার মহাকাশচারীদের জন্য বিশেষ স্পেস স্যুট বা পোশাক এনেছে ইতালির লাক্সারি ফ্যাশন হাউস প্রাডা। আমেরিকান প্রাইভেট কোম্পানি অ্যাক্সিওম স্পেসের সঙ্গে যৌথভাবে এ পোশাক আনলো তারা। ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে নাসার আর্টেমিস-৩ মিশনে পরা হবে এই স্পেস স্যুট।
গত বুধবার মিলানে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল অ্যারোনটিক্যাল কংগ্রেসের সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ স্পেসস্যুট উন্মোচন করা হয়। সাদা রঙের স্পেস স্যুটটির দুই কনুই আর হাঁটুতে ধূসর ম্যাটারিয়াল জুড়ে দেওয়া হয়েছে। হাতা, কোমরের অংশ আর পোর্টেবল ব্যাকপ্যাকে রয়েছে রেড অ্যাকসেন্ট লাইন।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাক্সিওম স্পেসের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট রাসেল রালসটন বলেন, ‘এটি একটি অভূতপূর্ব মিশেল যেখানে প্রকৌশল, বিজ্ঞান এবং শিল্প এসে মিশেছে।’
আরো পড়ুন : বেশি এসএমএস পাঠানোয় জিপি-রবি-বাংলালিংককে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা
এই স্যুটের রয়েছে দারুণ কিছু বৈশিষ্ট্য। বিশেষ নকশার কারণে স্যুটটির ইঞ্জিনিয়ারড বুট পরে মহাকাশচারীরা দিনে অন্তত আট ঘণ্টা স্পেসওয়াক করতে পারবেন। এই স্যুটে ব্যবহৃত সাদা উপাদান তাপ প্রতিফলনে বিশেষভাবে সক্ষম; ফলে উচ্চ তাপমাত্রা এবং লুনার ডাস্ট (চাঁদের ধুলা) থেকে মহাকাশচারীদের সুরক্ষা প্রদান করবে।
এই প্রকল্পে প্রাডা তাদের টেক্সটাইল উৎপাদন এবং বুনন-সম্পর্কিত দক্ষতা নিয়ে আসায় স্পেস স্যুটের স্টাইল এবং ফাংশনের মধ্যে সমন্বয় করা সহজ হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। নতুন প্রযুক্তি ও নকশার ব্যবহারে এই স্পেস স্যুটে চাঁদের পৃষ্ঠে আগের চেয়েও বেশি অনুসন্ধান সম্ভব বলে দাবি করা হয়েছে সেখানে।
জেন্ডার নিউট্রাল এবং ফ্রি সাইজের এই স্পেস স্যুট নারী-পুরুষ সবার জন্য একই রকমভাবে তৈরি করা হয়েছে। প্রাডার প্রধান বিপণন কর্মকর্তা লরেঞ্জো বার্টেলির মতে, প্রতিষ্ঠানটির ১০ জন কর্মী এর পেছনে নিরলস শ্রম দিয়েছেন। এর জন্য মিলান এবং টেক্সাসের হিউস্টনের মধ্যে তাদের বারবার যোগাযোগ সাধন করতে হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো ১৭-এর পর আবার এই মিশনের মাধ্যমে চাঁদে অবতরণ করবেন মহাকাশচারীরা এবং প্রথমবারের মতো সেখানে থাকবেন একজন নারী মহাকাশচারীও।
সূত্র: সিএনএন
এস/কেবি