ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে নীরব চাঁদাবাজি চলছে দাবি করে চাঁদাবাজির বিষয়ে সতর্ক করে দলটির পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৪ই অক্টোবর) সকাল থেকে আলফাডাঙ্গা পৌর শহরসহ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে এ মাইকিং করা হয়।
মাইকিংয়ে বলা হয়, ‘প্রিয় আলফাডাঙ্গাবাসী আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি যে আলফাডাঙ্গা বাজারের এবং আশপাশের গ্রামের বিশেষ করে হিন্দু ব্যবসায়ীদের ওপর নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে নতুন নতুন মামলার আসামি বানানোর কথা বলে নীরবে চাঁদাবাজির চেষ্টা চলছে বা হচ্ছে। দয়া করে কেউ এ ধরনের প্রতারণার ফাঁদে পা দিবেন না।'
এতে বলা হয়, 'অনেকেই নিজেদেরকে বিএনপির নেতা হিসেবে দাবি করছে। এ ধরনের কোনো ব্যক্তি যদি আপনাকে বিএনপির নাম দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা-কর্মী এবং সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। পাশাপাশি ভুক্তভোগীরা পুলিশ প্রশাসনের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।’
উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই কিছু কুচক্রী মহল সক্রিয় হয়ে উঠছে। এমনকি বিএনপির নেতা-কর্মীদের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা ও নীরব চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এসব কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করতে উপজেলাজুড়ে মাইকিং করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, জনসাধারণকে সতর্ক করার জন্য সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার নাসিরুল ইসলামের নির্দেশনায় এ মাইকিং করা হয়েছে। কারণ, কয়েক মাস ধরে দলের নাম ভাঙিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করা হয়েছে। এর সঙ্গে উপজেলা বিএনপি কোনোভাবেই জড়িত নয়। তাই উপজেলাবাসীকে মাইকিং করে এ কথা জানানো হয়েছে।
এমন ঘোষণাকে বিএনপির দলীয় বিষয় উল্লেখ করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজালাল আলম বলেন, ‘বিএনপির পক্ষে এ জাতীয় মাইকিং করা হয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি। অপরাধ দমন করা পুলিশের দায়িত্ব। জনসাধারণের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
খবরটি শেয়ার করুন