ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরের জুলাই মাসে মোট ২৯৬টি ভুয়া তথ্য শনাক্ত করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বিষয়ভিত্তিক ভুয়া তথ্যের ঘটনার মধ্যে ২২০টি ছিল রাজনীতিবিষয়ক। বৃহস্পতিবার (২৮শে আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সিজিএসের প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশে রাজনৈতিক বিষয়ে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর প্রবণতা বহুগুণে বেড়েছে, এটি ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
সিজিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের জুলাই মাসে মোট ২৯৬টি ভুয়া তথ্যের মধ্যে ২২০টি ছিল রাজনীতিবিষয়ক। এ ছাড়া জুলাইয়ে শনাক্ত করা অন্যান্য ভুয়া তথ্যের মধ্যে অনলাইন হোক্স ছিল ২৮টি, বিনোদনসংক্রান্ত বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ২১টি, ধর্মবিষয়ক ১৩টি, অর্থনীতিবিষয়ক ছয়টি, কূটনৈতিক বিষয়ে পাঁচটি ও পরিবেশসংক্রান্ত তিনটি ভুয়া তথ্য ছিল।
এর আগে জুন মাসে মোট ৩২৪টি যাচাই করা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য শনাক্ত করেছিল সিজিএস। তবে ওই মাসেও অধিকাংশ ভুয়া তথ্য ছিল রাজনীতিবিষয়ক—২৫৩টি। তুলনামূলক বিবেচনায় জুন মাসের চেয়ে জুলাইয়ে ভুয়া তথ্য কম ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিটি মিথ্যা তথ্যের ভুক্তভোগীদেরও শনাক্ত করা হয়েছে জানিয়ে সিজিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সে অনুযায়ী জুলাই মাসে ৬৬টি ভুয়া তথ্যের মূল ভুক্তভোগী বা টার্গেট ছিল দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজনৈতিক দল (৬৫টি)।
এ ছাড়া ভুয়া তথ্যের লক্ষ্য ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ৪১টি, সেলিব্রিটি ২৩, ধর্ম ১২, সরকারি প্রতিষ্ঠান ১৩, অন্তর্বর্তী সরকার ১০, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তিন ও ধর্মীয় ব্যক্তি দুটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুয়া তথ্য ছড়ানোর প্রধান মাধ্যম হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহৃত হচ্ছে। ২৯৬টি ঘটনার মধ্যে ২৮৯টি ঘটেছে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, থ্রেডস ও এক্সের (টুইটার) মতো প্ল্যাটফর্ম থেকে। অন্য সাতটি ভুয়া তথ্য অনলাইন নিউজপোর্টালে ছড়ানো হয়েছে।
সিজিএসের প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান বলেন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিজিএস আগে থেকেই ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে কাজ করে আসছে এবং সামনের দিনগুলোতেও কাজ করবে। তবে এ বিষয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ ও আলাদাভাবে কাজ করতে হবে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন