শুক্রবার, ১৭ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** রাকসুতে ভিপি-এজিএসে শিবির, জিএস আধিপত্যবিরোধী ঐক্যের জয় *** রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ছেঁউড়িয়ায় লালন স্মরণোৎসব শুরু হচ্ছে আজ *** জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা *** ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তরের মানুষ... *** সব গণমাধ্যমকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** ‘লং মার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি দিলেন শিক্ষকরা *** জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুক্রবারই, বাদ পড়লে পরেও স্বাক্ষর করা যাবে: আলী রীয়াজ *** সাবেক বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা *** সাত কলেজ নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা *** এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা

মাস্কের স্টারলিংকের বিকল্প আনছে রাশিয়া, চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া শিগগিরই ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা ‘স্টারলিংক’-এর প্রতিদ্বন্দ্বী আনবে। আধুনিক মহাকাশ দৌড়ে পিছিয়ে পড়া থেকে বের হয়ে আসার জন্যই এই উদ্যোগ। গতকাল বুধবার (১৭ই সেপ্টেম্বর) এমনটাই জানিয়েছেন রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থার প্রধান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

স্টারলিংকের দাবি, বর্তমানে তাদের নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্যাটেলাইট কনস্টেলেশন বা নক্ষত্রপুঞ্জ রয়েছে। কোম্পানিটির মালিকানায় ৮ হাজারেরও বেশি স্যাটেলাইট আছে। রুশ কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন, মহাকাশযান উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে মাস্ক যে বিপ্লব ঘটিয়েছেন, তা রাশিয়ার জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে।

রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের প্রধান ৩৯ বছর বয়সী দিমিত্রি বাকানভ রুশ টিভি সঞ্চালক ভ্লাদিমির সলোভিওভকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন, সংস্থাটিকে এখন আর ‘জড়তা’র মধ্যে চললে হবে না, নতুন প্রজন্মের মেধাবী তরুণদের আকৃষ্ট করতে হবে।

তিনি জানান, রাশিয়া এখন স্টারলিংকের বিকল্প গড়ে তুলছে। মাস্কের স্পেসএক্স পরিচালিত স্টারলিংক নিম্ন-কক্ষপথের (লোয়ার অরবিটাল) স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট সরবরাহ করে, যা দূরবর্তী অঞ্চল ও যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেনীয় বাহিনীও স্টারলিংকের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করছে।

বাকানভ বলেন, ‘কয়েকটি পরীক্ষামূলক স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠানো হয়েছে এবং সেগুলোর ভিত্তিতে উৎপাদিত সংস্করণে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমরা দ্রুতগতিতেই এই পথে এগোচ্ছি।’ তিনি জানান, রুশ মহাকাশ সংস্থা ‘ব্যুরো—১৪৪০’ একটি লোয়ার অরবিটাল স্যাটেলাইট সিস্টেম তৈরি করছে, যা দিয়ে বৈশ্বিক ব্রডব্যান্ড ডেটা সরবরাহ সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়া অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে। যেমন—২০০২ সালে মস্কো সফরে গিয়ে ইলন মাস্ক যখন মহাকাশযান উৎক্ষেপণের জন্য আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চেয়েছিলেন, রাশিয়া তখন তাকে গুরুত্বই দেয়নি।

অ্যাশলি ভ্যান্স লিখিত ইলন মাস্কের জীবনী অনুযায়ী, সে সময় রাশিয়ানরা মাস্ককে বিশ্বাসযোগ্য মনে করেনি। এই অপমানই মাস্ককে নতুন পথ খুঁজতে বাধ্য করে—যার ফলাফল হলো রাশিয়ার তুলনায় অনেক কম খরচে উৎক্ষেপণ সেবা দেওয়া।

মহাশূন্যে প্রতিযোগিতার শুরুর দিকেই পশ্চিমা বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। ১৯৫৭ সালে তারা প্রথম স্যাটেলাইট স্পুৎনিক-১ কক্ষপথে পাঠায়। এরপর ১৯৬১ সালে সোভিয়েত নভোচারী ইউরি গ্যাগারিন মহাশূন্যে পা রাখা প্রথম মানুষ হন।

কিন্তু ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ার পর থেকে রাশিয়ার মহাকাশ কর্মসূচি অর্থাভাব, দুর্নীতি আর তরুণ প্রকৌশলীদের ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত অভিযোগে জর্জরিত হয়ে পড়ে। ২০২৩ সালের আগস্টে চাঁদে রাশিয়ার মানববিহীন লুনা-২৫ মিশন ভেঙে পড়ায় তাদের মহাকাশ নেতৃত্বের স্বপ্নে বড় ধাক্কা লাগে।

বাকানভ এর আগে ছিলেন ‘গোনেৎস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান, যা রাশিয়ার একটি ছোট স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিচালনা করে। এসব স্যাটেলাইট মূলত সরকারি কাজে ব্যবহার করা হয়।

জে.এস/

ইলন মাস্ক

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250