ছবি: সংগৃহীত
নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে সংস্কার অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এই সরকার কিছু করে যাবে, কিছু করতে পারবে না। যেটুকু বাকি থাকবে, এখন যে সময়টুকু আছে, এই সরকারকে বলতে হবে, আমি চলে যাওয়ার আগে বাকিটুকু কি করে যাব? সেই স্বচ্ছতাটা প্রস্তাব করছি আমরা। ওনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) বলুক যে আমরা যাওয়ার আগে এই বাকি কাজটুকু শেষ করে দিয়ে যাব।’
বৃহস্পতিবার (২৩শে অক্টোবর) দুপুরে সিলেট নগরের মির্জাজাঙ্গাল এলাকার একটি রেস্তোরাঁ মিলনায়তনে প্রাক্–নির্বাচনী উদ্যোগের অংশ হিসেবে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত আঞ্চলিক পরামর্শ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।
এর আগে সভায় উপস্থিত নাগরিকেরা ‘আগামী নির্বাচনে কী প্রত্যাশায় ভোট দেবেন’ এবং ‘নবনির্বাচিত সরকারের কাছে প্রধান দাবি কী’ বিষয়ে নিজেদের মতামত দেন।
বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত চলা সভায় রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, উন্নয়নকর্মী, শিক্ষক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মী, অধিকারকর্মী, সমাজ সংগঠক, শিক্ষার্থীসহ সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
তারা জানান, নাগরিকেরা আগামী সরকারের কাছে সবার আগে দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ, নিরপেক্ষতা, সুশাসন, জবাবদিহি, দেশপ্রেম, বৈষম্য বিলোপ, কর্মসংস্থান, স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা চান।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যে উৎসাহ নিয়ে শ্বেতপত্র ও অন্যান্য টাস্কফোর্সের রিপোর্ট বা অন্যান্য তৈরি করেছিল, আমাদের পরিতাপের জায়গা হলো, প্রধান উপদেষ্টার ওই আকাঙ্ক্ষা, ওনার যে সহযোগীরা এবং যে আমলাতন্ত্র সাথে আছে, ওনারা এতখানি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে নাই। সে জন্য আমরা মনে করি যে আগামী দিনে নির্বাচনী ইশতেহারের ভেতরে এই প্রতিশ্রুতিগুলোকে স্থান দিতে হবে এবং নতুন যে সরকার আসবে, এটার ধারাবাহিকতাটা রক্ষা করবে।’
নাগরিক প্ল্যাটফর্মের এই আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে, বাংলাদেশকে একটা মধ্যম আয়ের জায়গাতে নিয়ে যেতে হলে এই সংস্কারগুলো অপরিহার্য। সংস্কারবিরোধী জোট যেটা সৃষ্টি হয়েছিল, সেটা ভাঙতে হলে এই ধরনের পদক্ষেপগুলো অপরিহার্য।'
তিনি বলেন, 'আমরা এটা প্রত্যাশা করি, রাজনীতিবিদেরা তারা এটা ধারণ করবে ইশতেহারের মধ্যে। সব এই সরকার করে যেতে পারবে বলে আমরা মনে করি না। আগামী দিনের সরকারকেও দায়িত্ব নিতে হবে।’
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন