ছবি: সংগৃহীত
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ ১৪ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে। সামনে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো কঠিন প্রতিপক্ষ। হংকংয়ের মতো সহজ প্রতিপক্ষ পেলে যেকোনো দলই যেভাবে ‘খুনে মানসিকতা’ নিয়ে খেলে, জয় পেলেও বাংলাদেশ কি সেভাবে খেলতে পেরেছে?
বাংলাদেশের ব্যাটিং বিধ্বংসী না হওয়ার পেছনে ‘দায়ী’ করা যায় তাওহীদ হৃদয়ের ৯৭.২২ স্ট্রাইকরেটে ৩৬ বলে ৩৫ রানের সতর্ক ইনিংসকে। ক্যারিয়ারের শুরুতে হৃদয়ের কবজির মোচড়ে বড় শট মুগ্ধতা ছড়ালেও তার সীমাবদ্ধতা যেন এখন পড়ে ফেলছেন প্রতিপক্ষের বোলাররা। টপঅর্ডারের ব্যাটার হৃদয় টি-টোয়েন্টিতে নিজের সবশেষ ফিফটি পেয়েছেন ১৩ ইনিংস আগে।
হৃদয় স্বীকার করলেন, ক্যারিয়ারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ তার শেষ। ভান্ডারে নতুন শক্তি যোগ না করতে পারল প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করা কঠিন হবে। হৃদয় হংকং-ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমার হানিমুন পিরিয়ড শেষ, যেটা বললেন। যেহেতু হানিমুন পিরিয়ড শেষ, আমি চেষ্টা করছি, সেভাবে অনুশীলন করছি। হয়তো-বা হচ্ছে না। অনেক বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে, তারাও স্ট্রাগল করছে। টি–টোয়েন্টিতে ফরম্যাটে অনেক সময় ১৫–২০ রান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। আপনারা হয়তো মাইলফলক দেখেন। ৫০, ১০০ রান দেখেন, আমি চেষ্টা করছি, হয়তো হচ্ছে না। আমার হাতে যা আছে, সেটা নিয়ে চেষ্টা করে যাব।’
আবুধাবিতে হংকংকে আফগানিস্তান যেভাবে উড়িয়ে দিয়েছিল, বাংলাদেশ সেটা পারেনি। ‘গ্রুপ অব ডেথে’ যেখানে সমশক্তির দলগুলোর নেট রানরেট ঠিক রাখার তাড়না, বাংলাদেশ হংকংয়ের বিপক্ষে সেটা কতটা করতে পেরেছে? আফগানিস্তানের রানরেট এখন ৪.৭, বাংলাদেশের সেখানে ১.০০১।
হৃদয় বলেছেন, ‘অবশ্যই এটা ছিল মাথায় (রানরেট)। তার চেয়ে বড় কথা, আগে নিশ্চিত করতে হবে জয়টা। আমাদের পরিকল্পনা ছিল ওভাবেই । প্রয়োগ যদি বলি হয়তো-বা আরেকটু আগে শেষ করা যেত ম্যাচ। আমি চেষ্টা করেছি কয়েকটা কিন্তু আমার ব্যাটে লাগছিল না। আরও ২-১ ওভার বা আরেকটু আগে শেষ করতে পারতাম। কিন্তু দিন শেষে ম্যাচের ফল আসাটা গুরুত্বপূর্ণ।’ একই মাঠে বাংলাদেশের পরের ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, আগামীকাল শনিবারে (১৩ই সেপ্টেম্বর)।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন