সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যত্নে থাকুক পছন্দের বই!

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:২৬ অপরাহ্ন, ৩রা মার্চ ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

বই পড়তে ভালোবাসেন অনেকে। তাদের সংগ্রহে থাকে নানান লেখকের বই। তাদের কাছে বই মানেই ভালো কিছু মুহূর্ত কাটানোর উপায়। এটিই  সবচেয়ে কাছের বন্ধু। আর সেই বইগুলো যত্নের অভাবে নষ্ট হয়ে যাক এমনটা নিশ্চয়ই কেউই চাই না তাই নিজের সংগ্রহে রাখা বইগুলোর নিয়মিত যত্ন নিন। এতে অনেকদিন পর্যন্ত বই ভালো রাখা সম্ভব হবে।

চলুন জেনে নিই বই ভালো রাখার উপায়-

শেলফে গুছিয়ে রাখুন

বইপ্রেমীদের মধ্যে অনেকের কাছে অনেক বই তো আছে, কিন্তু তা গুছিয়ে রাখার জন্য শেলফ নেই। এতে ঘর দেখতে অগোছালো লাগে। আর বইয়ের যত্নও ভালোভাবে নেওয়া হয় না। তাই এগুলো ভালো রাখতে সবার আগে প্রয়োজন একটি বুকশেলফ। আপনার কাছে যত সংখ্যক বই আছে, সে অনুযায়ী বুকশেলফ কিনে ফেলুন।

সহজে খুঁজে পেতে একাডেমিক বা অফিসিয়াল বইগুলো সবার সামনে রাখতে পারেন। এরপর উপন্যাস, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনী, রান্নার বই, ছবির বই—সব এক এক করে সাজিয়ে রাখতে পারেন। অথবা লেখকের নামানুসারেও রাখতে পারেন। চাইলে বইয়ের ওপর লেবেল ও ট্যাগ লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে খুঁজে পাওয়া আরও সহজ হবে। শেলফ থেকে নামানোর সময় পুরো বই ধরে নামান। শুধু ওপরের অংশ ধরে টানলে বই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

আরো পড়ুন : নিজের জন্য থাক একটু সময়

সূর্যের আলো ও স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা থেকে দূরে রাখুন

বই সংরক্ষণের বিষয়টি অনেকটা দামি পেইন্টিং সংরক্ষণের মতো। কোন পরিবেশে রাখছেন তার ওপর নির্ভর করে, আপনার বইগুলো ঠিক কতটা ভালো থাকবে। সরাসরি সূর্যের আলো এসে পড়ে এমন জায়গায় বই না রাখাই ভালো। আবার একদম অন্ধকার জায়গাতেও বই রাখবেন না। আলো বাতাসযুক্ত শুকনো স্থানে বই রাখুন।

স্যাঁতস্যাঁতে দেয়ালের কাছে কখনো বই রাখা উচিত নয়। কারণ কাগজ খুব দ্রুত পানি শোষণ করে নেয়। এতে বই তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই কড়া রোদ বা স্যাঁতস্যাঁতে ভাব আছে এমন দুই জায়গা থেকেই বই দূরে রাখুন। অনেকের বুকশেলফে কাঁচের দরজা থাকে। এতে বই ধুলোবালি থেকে রক্ষা পেলেও পর্যাপ্ত বাতাসের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। তাই বুকশেলফ থেকে মাঝে মাঝে বই বের করে রোদে রাখতে হবে।

কাগজের বুকমার্ক ব্যবহার করুন

অনেকে বই পড়ার মাঝে বিরতি দিলে পৃষ্ঠা ভাঁজ করে রাখেন অথবা পেপার ক্লিপ ইউজ করেন। দুটোই কিন্তু বইয়ের জন্য খারাপ। পেপার ক্লিপে জং ধরে পৃষ্ঠা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর ভাঁজ করলে ভেঙে যেতে পারে। তাই বইয়ের জন্য কাগজের বুকমার্ক সবচেয়ে ভালো। চাইলে পালক, রেশমের ফিতা বা শার্টিনের কাপড়ও বুকমার্ক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

পোকা থেকে সুরক্ষিত রাখুন

সঠিকভাবে যত্ন না নিলে বইয়ে পোকা ধরে, বইয়ের পৃষ্ঠায় দুর্গন্ধ হয়। এসব সমস্যা কমানোর জন্য বইয়ে জমে থাকা ধুলা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। আবার বইয়ের তাকে কর্পূর বা ন্যাপথলিন রাখতে পারেন। এগুলোর গন্ধে বইয়ে পোকা ধরবে না। অনেকে বইয়ের ভেতর ফুল বা পাতা রাখেন। এতে কিন্তু পৃষ্ঠার রঙ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ফুল বা পাতা সংরক্ষণ করতে চাইলে সেগুলো আলাদাভাবে ডায়েরিতে রাখতে পারেন।

পড়ার সময় সতর্ক থাকুন

অনেকে বই ভাঁজ করে বা এক হাতে বই নিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন। দুটোর মধ্যে কোনোটাই বই ভালো রাখার জন্য সঠিক নয়। বরং দুই হাত দিয়ে ধরে পড়ুন। সম্ভব হলে কুশনের ওপর রেখে নিন। এতে মোটা বা ভারী বই হলে ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।

বই ধার দিলে লিখে রাখুন নাম ও তারিখ

ধার দিয়ে বই ফেরত পান না এমন প্রায়ই হয়ে থাকে। আবার পেলেও দেখা যায় বইয়ের অবস্থা আগের মতো নেই। তাই যাকে বই ধার দিচ্ছেন তাকে অবশ্যই এর যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিন। আর দেওয়ার সময় নাম ও তারিখ লিখে রাখুন। যেন সময়মতো ফেরত নেওয়া যায়। বই দিতে দেরি হলে প্রয়োজনে নিজেই যোগাযোগ করুন।

এস/ আই.কে.জে/

বই যত্ন

খবরটি শেয়ার করুন