ছবি: সংগৃহীত
আগামী ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার যে অবস্থান নিয়েছে তা পুনর্বিবেচনার প্রত্যাশা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির। আর এ লক্ষ্যে বিএনপি এক মাস সময় দেবে সরকারকে।
এ সময়ের মধ্যে যদি সরকারের মনোভাবের পরিবর্তন না হয়, নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না আসে, তাহলে আগামী জুলাই মাসে মাঠের কর্মসূচি শুরু করবে বিএনপি। আর সেটা নিঃসন্দেহে নির্বাচন আদায়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের দিকে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার দলটির এ অবস্থানের কথা জানা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তাদের মতে, আগামী জুলাই-আগস্টে নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে।
গত বুধবার (২৮শে মে) ঢাকার সমাবেশ থেকে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব স্পষ্টতই জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে হতেই হবে। এর বাইরে অন্য কিছু ভাবছেন না। আর এখন সিদ্ধান্ত সরকারের।
এ ছাড়া বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা যায়, গত বুধবার ঢাকার পল্টনে অনুষ্ঠিত বড় সমাবেশের পর আপাতত মাঠের কর্মসূচির কোনো ভাবনা নেই তাদের। আসছে ৭ই জুন পবিত্র ঈদুল আজহা। আর ঈদ উদ্যাপনে জুনের অর্ধ্বেক কেটে যাবে। এরপর জুলাই মাস থেকে নতুন কর্মসূচি আসবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখনো তার আগের অবস্থানেই আছেন। তিনি চান এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। গত বৃহস্পতিবার (২৯শে মে) টোকিওর নিক্কেই ফোরামের অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, সব দল নয়, বাংলাদেশে শুধু একটি দলই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়।
প্রধান উপদেষ্টার এ মন্তব্য সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, শুধু একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় বলে প্রধান উপদেষ্টা যে কথা বলেছেন, সেটি সত্য নয়। এ বিষয়টি অনেকের জানা, যুগপৎ আন্দোলনের শরিক এবং সমমনা দলগুলো ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে।
আরএইচ/
খবরটি শেয়ার করুন