ছবি : সংগৃহীত
মিষ্টি কুমড়ো খেতে কমবেশি সবাই পছন্দ করেন। এটি খেতে যতটা সুস্বাদু, এর বীজও কিন্তু ততটাই উপকারী। কুমড়ো কাটার সময় আমরা সাধারণত বীজ ফেলে দিই। কিন্তু, এই বীজের তেল ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। কারণ ত্বক ও চুলের জেল্লা বাড়ায় কুমড়ো বীজের তেল। এতে রয়েছে ভিটামিন ই, সি, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বককে সতেজ রাখে। অকাল বার্ধক্যের ছাপও পড়তে দেয় না। তাই উপকারী এ তেল কীভাবে তৈরি করবেন ও ব্যবহার করবেন তা জেনে নিন।
তৈরি করবেন যেভাবে-
কুমড়ো কাটার সময় বীজগুলো বের করে নিন। না ধুয়ে বীজগুলো শুকিয়ে নিতে হবে। কিন্তু ভুলেও রোদে রাখবেন না। বীজ শুকিয়ে গেলে সেগুলোর সঙ্গে আরও একটি তেল মেশাতে হবে। অন্য একটি পাত্রে জলপাইয়ের তেল নিয়ে তার মধ্যে বীজগুলো ফেলে দিন। যতটা বীজ হবে, সেই পরিমাণ দেখেই জলপাইয়ের তেল নিতে হবে। এবার আঁচ কমিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কম আঁচে জ্বাল দিতে হবে। তেল ফুটে উঠলে নামিয়ে ছেঁকে নিন।
আরো পড়ুন : স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিত?
মুখে মাখবেন যেভাবে-
ময়েশ্চারাইজারের মতো ব্যবহার করা যায় কুমড়ো বীজের তেল। যেকোনো ত্বকের জন্যই এটি উপকারী। মুখে মাখার আগে আধা কাপ কুমড়ো বীজের তেলের সঙ্গে আধা কাপ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। এবার তাতে গ্লিসারিন মেশান। এই মিশ্রণ শিশিতে ভরে রেখে দিন। রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ত্বকে ভালো করে মেখে নিলে সব দাগ-ছোপ দূর হয়ে যাবে। ত্বকের জেল্লা ফিরবে। ত্বক নরম ও মসৃণ হবে।
পাকা কলা ও মধুর মিশ্রণে কুমড়ো বীজের তেল যোগ করেও মুখে মাখতে পারেন। এতে রোদে পোড়া দাগ দূর হয়ে যাবে।
চুলের জন্য
চুলের জন্যও একইভাবে কুমড়ো বীজের তেল বানাতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে জলপাইয়ের বদলে তিলের তেলে বীজগুলো ফোটাতে হবে। পদ্ধতি একই। এই তেল কাচের জারে দীর্ঘদিন রেখে দিতে পারেন। রোজ মাথায় মাখলে চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে। খুশকির সমস্যাও থাকবে না।
এস/ আই.কে.জে/