ছবি : সংগৃহীত
দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে একটি শক্তিশালী সৌরঝড় আঘাত হেনেছে। এর ফলে তাসমানিয়া থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের আকাশে আকর্ষণীয় মহাকাশীয় আলো দেখা দিয়েছে। বিরল এই সৌর ঝড়ের কারণে বিভিন্ন উপগ্রহ ও বৈদ্যুতিক গ্রিডের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওসেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ)-এর স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টারের মতে, শুক্রবার (১০ই মে) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার পর বেশ কয়েকটি করোনাল ম্যাস ইজেকশনের (সিএমই)-এর ঘটনা ঘটেছে। সূর্য থেকে প্লাজমা এবং চৌম্বক ক্ষেত্র বেরিয়ে আসার ঘটনাকে সিএমই বলা হয়ে থাকে। পরে এটি ‘মারাত্মক’ ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ে পরিণত হয়।
আরো পড়ুন : ইন্টারনেট ছাড়াই দেখা যাবে ইউটিউব!
এর আগে ২০০৩ সালের অক্টোবরে তথাকথিত ‘হ্যালোইন স্টর্মস’-এর পর এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম। ওই সময়ের সৌর ঝড়ে সুইডেনে ব্ল্যাকআউট এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্যুৎ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
সৌরঝড়ের কারণে উত্তর ইউরোপ থেকে করে অস্ট্রেলিয়াতে অরোরা বা নর্দার্ন লাইট দেখা গেছে।
আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী, সূর্য তার ১১ বছরের দীর্ঘ সৌরচক্র অতিক্রম করছে। এই কারণে, করোনাল ম্যাস ইজেকশন এবং সৌর শিখা ঘটছে, যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলতে থাকবে।
সৌর ঝড়ের কারণে স্যাটেলাইটে শর্ট সার্কিট হয়। পাওয়ার গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব কারণে মহাকাশচারীদের জীবনও হুমকির মুখে পড়তে পারে। এ ছাড়া পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ঘটিয়ে বিঘ্ন ঘটাতে পারে বিদ্যুৎ পরিষেবাসহ কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও।
সূত্র : বার্তাসংস্থা এপি
এস/ আই.কে.জে/