শনিবার, ১১ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে গুজব, যা বললেন ছেলে জয় *** ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীরা সব সময় ধর্ম পালনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা *** বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে বিলুপ্তি চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন *** ‘কারা লুঙ্গি তুলে চেক করে মানুষ মেরেছে, তা সবারই জানা’ *** শান্তিতে নোবেলজয়ী মারিয়া মাচাদোকে অভিনন্দন জানালেন ড. ইউনূস *** শনিবার ভোরে দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম *** ইসরায়েল থেকে মুক্ত শহিদুল আলম এখন তুরস্কে *** স্বামী নিখোঁজের পর দেবরের সঙ্গে বিয়ে, পরের দিনই হাজির স্বামী! *** সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর শরৎ উৎসব স্থগিত নিয়ে যা জানাল চারুকলা অনুষদ *** গাজায় যুদ্ধবিরতি ‘কার্যকর’, নিজ এলাকায় ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা, সরছেন ইসরায়েলি সেনারা

সমন্বিত খামার গড়ে ভাগ্য বদলালেন চুয়াডাঙ্গার হাফেজ আব্দুল কাদির

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, ২৫শে জানুয়ারী ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার হাফেজ আব্দুল কাদির সোহান লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে সমন্বিত খামার গড়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এরই মধ্যে গত ৮ বছরে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন থেকে অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেছেন।

হাফেজ আব্দুল কাদির সোহানকে বাবা জোনারুল ইসলাম ও মা গুলশান আরা কোরানে হাফেজ পড়িয়েছেন। ২০১০ সালে চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র আলিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেন। পরে ২০১৫ সালে এস এম জোহা কলেজ থেকে কৃষি ডিপ্লোমা অর্জন করেন। শুরু করেন কীটনাশক তৈরির কোম্পানিতে চাকরি। দুই বছর চাকরি করার পর আর মন বসেনি। এরপর পাকাপোক্ত সিদ্ধান্ত নেন চাকরি ছেড়ে সমন্বিত খামার গড়ার।

২০১৭ সালে পিতার দেওয়া পঞ্চাশ হাজার টাকা ও দুই বিঘা জমি দিয়েই সমন্বিত খামার গড়ে তোলেন। শুরুতে ১২ মাসি কাটিমন আম, থাই পেয়ারা ও থাই লেবু দিয়ে ব্যবসার গোড়াপত্তন। ২০১৮ সালে সোহান কাটিমন আম উৎপাদন করে দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ২০১৯ সালে ব্যবসা সম্প্রসারিত হলো। চাষের জমি ২ বিঘা থেকে বেড়ে ৬ বিঘা হলো। ক্রমেই ব্যবসা লাভবান হওয়ায় সোহানের ব্যস্ততা আরো বেড়ে যায়। ব্যবসার পরিধি বাড়তে থাকে। ২০২০ সালে এসে জমির পরিমাণ দাঁড়ালো ২১ বিঘা। বর্তমানে সোহানের সমন্বিত খামারে মোট জমি রয়েছে ৩০ বিঘা।

সোহানের সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে স্ত্রী শারমিনের নিরলস পরিশ্রম রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজরুক গড়গড়ি এলাকায় সোহান গড়ে তুলেছেন সমন্বিত কৃষি খাবার। নাম দেওয়া হয়েছে মনমিলা গার্ডেন এন্ড নার্সারী।

আরও পড়ুন: ভোলার চরাঞ্চলে সবজির ব্যাপক ফলন, দামেও খুশি কৃষক

তার খামারে গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশ মুখে দুই পাশে ৩টি পুকুর। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পানিতে সাঁতরাচ্ছে। পুকুরের চারধারে ফুলের বাগান। আরো একটু সামনে বাগানে নানান ধরনের ফল গাছের সমাহার। বারো মাসি আম, কাঁঠাল, কুল, চাইনিজ কমলা, দার্জিলিং কমলা, থাই পেয়ারা, ড্রাগন, বারি-১ মাল্টা, এ্যাভোকাডো, ডুরিয়ান,  পার্সিমোন, থাই সরিফা-সহ ৮০ প্রজাতির ফল গাছ রয়েছে। প্রতিদিনই ফল বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের গাছের চারা বিক্রি করা হয়। উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এখানে তৈরি করা হয়েছে চালা ঘর। মনমিলা গার্ডেন থেকে চারা কিনে বাগান করে অনেক নারী-পুরুষ বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন।

এর বাইরে ২ বছর আগে গরু পালনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে টিনের সেড। সেখানে ১০টি গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে।

এসি/ আই.কে.জে/  


স্বাবলম্বী

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250