ছবি: সংগৃহীত
চুয়াডাঙ্গার হাফেজ আব্দুল কাদির সোহান লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে সমন্বিত খামার গড়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এরই মধ্যে গত ৮ বছরে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন থেকে অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেছেন।
হাফেজ আব্দুল কাদির সোহানকে বাবা জোনারুল ইসলাম ও মা গুলশান আরা কোরানে হাফেজ পড়িয়েছেন। ২০১০ সালে চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র আলিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেন। পরে ২০১৫ সালে এস এম জোহা কলেজ থেকে কৃষি ডিপ্লোমা অর্জন করেন। শুরু করেন কীটনাশক তৈরির কোম্পানিতে চাকরি। দুই বছর চাকরি করার পর আর মন বসেনি। এরপর পাকাপোক্ত সিদ্ধান্ত নেন চাকরি ছেড়ে সমন্বিত খামার গড়ার।
২০১৭ সালে পিতার দেওয়া পঞ্চাশ হাজার টাকা ও দুই বিঘা জমি দিয়েই সমন্বিত খামার গড়ে তোলেন। শুরুতে ১২ মাসি কাটিমন আম, থাই পেয়ারা ও থাই লেবু দিয়ে ব্যবসার গোড়াপত্তন। ২০১৮ সালে সোহান কাটিমন আম উৎপাদন করে দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ২০১৯ সালে ব্যবসা সম্প্রসারিত হলো। চাষের জমি ২ বিঘা থেকে বেড়ে ৬ বিঘা হলো। ক্রমেই ব্যবসা লাভবান হওয়ায় সোহানের ব্যস্ততা আরো বেড়ে যায়। ব্যবসার পরিধি বাড়তে থাকে। ২০২০ সালে এসে জমির পরিমাণ দাঁড়ালো ২১ বিঘা। বর্তমানে সোহানের সমন্বিত খামারে মোট জমি রয়েছে ৩০ বিঘা।
সোহানের সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে স্ত্রী শারমিনের নিরলস পরিশ্রম রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজরুক গড়গড়ি এলাকায় সোহান গড়ে তুলেছেন সমন্বিত কৃষি খাবার। নাম দেওয়া হয়েছে মনমিলা গার্ডেন এন্ড নার্সারী।
আরও পড়ুন: ভোলার চরাঞ্চলে সবজির ব্যাপক ফলন, দামেও খুশি কৃষক
এর বাইরে ২ বছর আগে গরু পালনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে টিনের সেড। সেখানে ১০টি গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে।
এসি/ আই.কে.জে/