ফাইল ছবি
যেখানে যাচ্ছেন, সেখানেই নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সবার মতৈক্য দেখতে পারছেন বলে জানিয়েছেন বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হলেই যে পরিবর্তন টেকসই হবে, তার কী গ্যারান্টি? এটাও তো আমাদের চিন্তা করতে হবে। সে জন্য নাগরিক হিসেবে আমরা যেটা করতে চাচ্ছি, নির্বাচনের পরে আমরা কী চাই, তা নেতাদের জানাতে হবে।’
সোমবার (২৪শে নভেম্বর) ময়মনসিংহ নগরের চরকালীবাড়ি এলাকার ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারের হলরুমে ‘নাগরিক প্ল্যাটফর্ম’ আয়োজিত প্রাক্-নির্বাচনী আঞ্চলিক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ও দাবিগুলো তুলে ধরতে এই নাগরিক সংলাপের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে অনুষ্ঠান চলে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টা পর্যন্ত। ‘নবনির্বাচিত সরকারের কাছে কী প্রত্যাশা?’, ‘আমাদের নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রত্যাশা কী?’ এই শিরোনামে মুক্ত আলোচনা হয়।
এতে রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, উন্নয়নকর্মী, শিক্ষক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, শিক্ষার্থী, কৃষকসহ নানা শ্রেণির মানুষ অংশ নেন। স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন এতে।
দেশ একটি ক্রান্তিকালের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘সেই ক্রান্তিকালের ভেতরেই এমন একটি পরিবর্তন আমরা প্রত্যাশা করি, যা বাংলাদেশে স্বাধীনতাত্তোর সময়ে আমরা আকাঙ্ক্ষা করে এসেছি। সেই আকাঙ্ক্ষার নতুন সুযোগ আমরা ছাত্র গণ–অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে গত ৫ই আগস্ট পরবর্তী সময়ে পেয়েছি। এই সুযোগ আমরা হেলায় হারাব কি না।'
তিনি বলেন, 'এ রকম যেন পেছনে ফিরে তাকিয়ে না বলি, আমার কিছু করার ছিল, আমি করিনি, তাই আজকে আফসোস করে লাভ কী হবে। এই সময়ে প্রত্যেক নাগরিককে তার প্রত্যাশা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে। নাগরিকেরা দায়িত্ব পালন না করে শুধু নেতারা করবেন, জনতা শুধু হাততালি দেবে, এই পরিস্থিতি তো চলতে পারে না।’
চলমান সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার আলোচনায় ও বিতর্কে পিছিয়ে পড়া বা সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বার্থ ও প্রত্যাশা তুলে ধরতে এবং তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম একটি ‘নাগরিক ইশতেহার’ প্রস্তুতের কাজ শুরু করেছে। এই লক্ষ্যে উপস্থিত ব্যক্তিদের মতামতও নেওয়া হয় অনলাইন ভোটিংয়ের মাধ্যমে।
খবরটি শেয়ার করুন