ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটলেও বাজারে প্রভাব পড়েনি। অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পর গেল সপ্তাহে রাজধানীর বাজারগুলোতে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ১৫ টাকা। আর পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগি দাম কেজিতে কমেছে ৬০ টাকা পর্যন্ত। মুরগির দাম কমলেও স্থিতিশীল সবজির বাজার। তবে দাম কমেছে পেঁয়াজ ও আলুর। মাছের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।
সবজি, মাছ ও মুরগির গাড়ি কম এলেও স্বাভাবিক চিত্র দেখা গেছে বাজারে। রাজধানীর মিরপুরের বাজারে স্থিতিশীল সবজির দামের সঙ্গে কমেছে মুরগির দাম। স্থিতিশীল আছে সব ধরনের মাছের দামও।
বৃহস্পতিবার (০৮ই আগস্ট) মিরপুর-৬ নম্বর কাঁচাবাজার, মাছের ও মুরগির বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। আর সামনের দিনে দেশের পরিস্থিতির যত উন্নতি হবে ততই পণ্যের দাম কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
দোকানদার শাহ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, হাইব্রিড পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে, দেশি পেঁয়াজ ১২৫ টাকা কেজি, চায়না ও দেশি আদা ২৮০ টাকা, চায়না রসুন ২৬৫ টাকা এবং দেশি রসুন ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্থিতিশীল আছে।
মুরগি বিক্রেতা জসীম উদ্দিন বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় বর্তমানে মুরগির দাম কমেছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, যা এ সপ্তাহে কমে দাঁড়িয়েছে ১৮০ টাকা। সোনালী বা পাকিস্তানি কক ৩২০ টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, পাকিস্তানি ও দেশি ক্রস ৪০০ টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬০০ টাকা থেকে কমে বর্তমানে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে মুরগির দাম আরও কমবে বলে জানান তিনি।
মাছ বিক্রেতা সুমন জানান, বেশিরভাগ মাছের দামই স্থিতিশীল আছে। তবে ইলিশসহ কিছু মাছের দাম কমেছে।
এসি/কেবি