ছবি: সংগৃহীত
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ মামলায় হাজিরা দিয়েছেন।
২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (২রা জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে এই আবেদন করেন তিনি।
এ মামলায় আজ অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
এর আগে, সকালে ড. ইউনূসসহ অপর আসামিরা আদালতে উপস্থিত হন। তখন হাজিরা ডেকে ডেকে আসামিদের আদালতে লোহা দিয়ে ঘেরা ডকে ঢুকতে বলা হয়।
তবে ড. ইউনূসের ক্ষেত্রে বাইরে থাকতে বলা হলেও তিনি স্বেচ্ছায় আদালতের ডকে প্রবেশ করেন।
কিছুক্ষণ পর এ মামলায় ড. ইউনূসসহ আসামিদের ডক থেকে বের করে আদালতের ভেতরে থাকা বেঞ্চে বসতে দেওয়া হয়েছে। তাদের উপস্থিতিতে শুনানি চলছে।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানি করছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩০শে মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
২০২৪ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার। দুদকের মামলায় আসামি ছিলেন ১৩ জন। চার্জশিটে নতুন একজন আসামির নাম যুক্ত হয়েছে।
আরো পড়ুন: আইনজীবী চান না শিলাস্তি, অন্যরা পাননি
আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২রা এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ চার্জশিট গ্রহণ করে মামলার বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ই মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭শে এপ্রিল।
গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ই মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন আগে ৮ই মে। সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টেও ৮ই মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এ রকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ই মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়।
এসি/ আই.কে.জে