শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কবি রফিক আজাদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটির প্রসঙ্গে যা বললেন সুলতানা কামাল *** 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নতুন নামে স্বীকৃতি পেতে অনুমোদনের প্রয়োজন হবে: ইউনেস্কো *** পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়াসহ তিন বিষয়ে সুরাহা চেয়েছে বাংলাদেশ *** ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান বাংলাদেশের *** ছয় মাসে কী সংস্কার করা হয়েছে, প্রশ্ন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের *** ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ *** কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা চলবে: আইএমএফ *** সংশোধিত ওয়াক্ফ আইন স্থগিত করলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট *** হিন্দু নারীর বিয়ে, বিচ্ছেদ, সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বিষয়ে পারিবারিক আইনে সংস্কার প্রযোজন

সাড়া ফেলেছে রসগোল্লা চা!

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:৪৯ অপরাহ্ন, ২রা জুলাই ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহে সাড়া ফেলেছে দাদা-বৌদি রসগোল্লা চা। সবার মুখে মুখে এখন এই চায়ের নাম। রসগোল্লার দুধ চা বিক্রি করে প্রতি মাসে লাখ টাকারও বেশি আয় করছেন শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের চরবাখরবা গ্রামের খাইরুল ইসলাম। 

জানা গেছে, প্রতিদিন এই চায়ের স্বাদ নিতে ঝিনাইদহের শৈলকুপার কাতলাগাড়ি বাজারে ভিড় করছেন দূর-দুরান্ত থেকে আসা মানুষ। জেলা সদর, শৈলকুপা, হরিণাকুণ্ডু, পার্শ্ববর্তী জেলার কুমারখালী ও খুকশার চা প্রেমিরা আসছেন এখানে। এছাড়া আশপাশের জেলা থেকেও আসছেন মানুষ।

কাতলাগাড়ি বাজারে শুভ ইশান হুঝাইফা টি স্টলে গিয়ে গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নানা বয়সী মানুষ বসে আছেন এক কাপ চায়ের আশায়। দোকানি খাইরুল চা তৈরি করে সবার হাতে তুলে দিচ্ছেন। চা প্রেমিকরা জানান, বিভিন্ন স্বাদের চা পাওয়া যায় বলেই তারা সেখানে আসেন। তবে বেশির ভাগই আসছেন রসগোল্লা চায়ের টানে।

চা দোকানদার খাইরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাবার সঙ্গে চায়ের দোকানে কাজ করি। ১৯৯০ সাল থেকে নিজে দোকানে চা বিক্রি করি। ২০০৩ সালে দিকে বেচাকেনা কম হওয়ায় ঢাকায় চলে যাই। সেখান থেকে ২০১৩ সালের দিকে বাড়িতে ফিরে এসে বাজারে চায়ের দোকান দেই। তখন থেকে গরুর দুধের চা বিক্রি করি।

আরো পড়ুন: উৎপাদন বাড়লো কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে 

তিনি বলেন, দুধ চায়ের চাহিদা বাড়তে থাকায় চায়ের আইটেম বাড়ানোর চিন্তা করি। এরপর ভারতে গিয়ে দীর্ঘ ৮ মাস ধরে স্পেশাল মালাই চা, কাশ্মিরি চা, দাদা-বৌদির রসগোল্লা চা তৈরি করা শিখেছি। দেশে এসে শুরু করি বিভিন্ন আইটেমের চা বিক্রি। তখন থেকে ৫ বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের চা বিক্রি করছি। 

চা দোকানদার আরও বলেন, দোকানের সব চা স্পেশাল, তার মধ্যে দাদা-বৌদির রসগোল্লা চা বেশি জনপ্রিয়। এছাড়া শুধু দুধ চা, মালাই চা, কাশ্মিরি চা, খেজুর গুড়ের চা, দুধ কফি, লাল কফি, লেবু চা, তেঁতুল চা, লাল চা বিক্রি করা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে আসেন। ভিড়ের মধ্যে সবার সঙ্গে কথা বলতে পারি না। অনেকে আবার সময় কম থাকার কারণে চা না খেয়েই চলে যান। 

খাইরুল ইসলাম আরও জানান, দিনে ৪০/৬০ কেজির দুধের চা করি। এক কেজি দুধে তিন কাপ রসগোল্লা চা তৈরি হয়। এই চা করার জন্য আগে আগুনে ভালো করে দুধ ফুটিয়ে ঘন করতে হয়। তারপরে একটি কাপে আলাদা করে রাখা হয় দুধ এবং সর। সেখানে রাখা হয় একটি রসগোল্লা। তাতে মেশানো হয় চিনি, এলাচ, লবঙ্গ, কিসমিস এবং সামান্য পরিমাণ হরলিক্স। তারপরে চা পাতায় গরম পানি মিশিয়ে তা দেওয়া হয় ওই কাপে। মানুষকে ভিন্ন স্বাদের চা দিতেই রসগোল্লা চা করেছি।

কুষ্টিয়া থেকে চা খেতে আসা সাজ্জাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমি খুব একটা চা খাই না। তবে আজ বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে তাদের সঙ্গে দাদা-বৌদির রসগোল্লা চায়ের স্বাদ নিতে এসেছি। এখানে যে চা খেলাম এর আগে কখনো খাইনি। চায়ের স্বাদ অন্যরকম।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী এলাকা থেকে চা খেতে আসা সাহেদ আহম্মেদ গণমাধ্যমকে বলেন, শৈলকুপার শেষ সীমান্তে কাতলাগাড়ী বাজারে এ চায়ের দোকান। এখানকার চায়ের স্বাদ এক কথায় দারুণ। দাদা-বৌদির রসগোল্লা চা সাধারণ চায়ের থেকে অনেক বেশি স্পেশাল। তাই দূর-দুরান্ত থেকে ৭০/৮০ টাকা দামের এক কাপ চা খেতে সবাই ছুটে আসছে।

এইচআ/ 

রসগোল্লা চা দাদা-বৌদি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন