শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার ঈদে ট্রেনে বাড়ি যাবেন ৩৫ লাখ মানুষ, প্রস্তুত ৩৭৮ ট্রেন

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:১৪ অপরাহ্ন, ৩১শে মার্চ ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

চলতি ট্রেনের সঙ্গে অতিরিক্ত আরো ১৬টি ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালাবে রেলওয়ে। ঈদযাত্রায় ১৪ দিনে প্রায় ৩৫ লাখ যাত্রী ভ্রমণ করবেন ট্রেনে। প্রতিদিন ভ্রমণ করবেন আড়াই লাখ। ইতোমধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৭৮টি যাত্রীবাহী ট্রেন। ৩রা এপ্রিল থেকে অগ্রিম টিকিট কাটা যাত্রীরা নাড়ির টানে গ্রামে ফিরবেন। অপরদিকে ঈদ ফেরত যাত্রীরা ৩রা এপ্রিল থেকে ফিরতি টিকিট কাটবেন। এবারও শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করছে রেল। শনিবার ৯ই এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট কাটতেও লাখ লাখ মানুষ অনলাইন/অ্যাপে হিট করেছেন।

শনিবার বিকালে রেলওয়ে মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরদার সাহাদাত আলী গণমাধ্যমকে বলেন, শুধু ঈদে নয়, স্বাভাবিক সময়েও ট্রেনে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকে। আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী টিকিট দিতে না পারলেও ঈদ উপলক্ষ্যে সর্বোচ্চ চেষ্টায় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ করব। প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) ও স্যারের (রেলপথমন্ত্রী) নির্দেশনায় ১৬টি ঈদ স্পেশাল ট্রেন এবং শতাধিক অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করেছি। ঈদযাত্রায় ১৪ দিন স্পেশাল ট্রেনও চলবে। প্রতিদিন প্রায় আড়াই লাখ যাত্রী ভ্রমণ করবেন ট্রেনে। আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন চালাতে রোলিং স্টকসহ মাঠপর্যায়ে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

রেলওয়ে অপারেশন ও পরিবহন দপ্তর সূত্র বলছে, এবারই প্রথম ট্রেনের টিকিট ওটিপির (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) মাধ্যমে কাটা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত টিকিট কালোবাজারির কোনো অভিযোগ উঠেনি। অগ্রিম টিকিট কাটার কয়েকদিন আগে বেসরকারি সংস্থা ‘সহজ ডটকম’র সঙ্গে সম্পৃক্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয় টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে। অপারেশন দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, পূর্বের ঈদযাত্রায় শত শত মানুষ রেল ভবন পর্যন্ত চলে আসতেন-বিশেষ ব্যবস্থায় অগ্রিম টিকিট পেতে। সম্প্রতি রেলভবন গেট হয়ে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে। টিকিটসংক্রান্ত বিষয়ে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

এদিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সরওয়ার বলেন, সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী টিকিট দেওয়া সম্ভব না হলেও প্রতিদিনই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে। টিকিট রেখে দেওয়ার কোনো সিস্টেম নেই। কাউন্টার থেকে কোনো অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। আমরা এখন প্রস্তুতি নিয়েছি কী করে যাত্রীদের নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া যায়। স্টেশন চত্বর থেকে শুরু করে গেট ও প্ল্যাটফর্মে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রবেশপথে তিন স্তরবিশিষ্ট বাঁশের অস্থায়ী বেড়া দেওয়া হয়েছে। ৪টি সারি দিয়ে যাত্রীরা স্টেশনে প্রবেশ করবেন। টিকিটধারী যাত্রীরা যাতে সহজে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা।

আরো পড়ুন: সচল হলো মেট্রোরেল চলাচল

এসি/ আই. কে. জে/ 



ট্রেন ঈদে ভ্রমণ

খবরটি শেয়ার করুন