শনিবার, ১১ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সব উপদেষ্টাই তো বিদেশি নাগরিক: রুমিন ফারহানা *** ইরানের ওপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার কবলে বাংলাদেশমুখী এলপিজির জাহাজ *** চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে গুজব, যা বললেন ছেলে জয় *** ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীরা সব সময় ধর্ম পালনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা *** বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে বিলুপ্তি চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন *** ‘কারা লুঙ্গি তুলে চেক করে মানুষ মেরেছে, তা সবারই জানা’ *** শান্তিতে নোবেলজয়ী মারিয়া মাচাদোকে অভিনন্দন জানালেন ড. ইউনূস *** শনিবার ভোরে দেশে ফিরছেন শহিদুল আলম *** ইসরায়েল থেকে মুক্ত শহিদুল আলম এখন তুরস্কে *** স্বামী নিখোঁজের পর দেবরের সঙ্গে বিয়ে, পরের দিনই হাজির স্বামী!

পাঠাওয়ের সিইও ফাহিম হত্যায় সাবেক সহকারী দোষী সাব্যস্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:১৩ অপরাহ্ন, ২৬শে জুন ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

পাঠাওয়ের সিইও ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ডে তার সাবেক সহকারী টাইরেস হাসপিল দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫শে জুন) মার্কিন একটি সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২০২০ সালে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। গত সোমবার (২৪শে জুন) ম্যানহ্যাটন সুপ্রিম কোর্ট এ মামলায় তার সাবেক সহকারীকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।

আদালতে তার সাবেক সহকারী টাইরেস হাসপিল জানান, প্রেমিকাকে আকৃষ্ট করার জন্য নানা উপহার কিনতে তিনি ফাহিমের অর্থ চুরি করেছিলেন। পরে এ বিষয়টি আড়াল করতেই তিনি ফাহিমকে হত্যা করেন। তবে তার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেন বিচারক।

আরো পড়ুন: জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে মুক্ত জীবন কাটাচ্ছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপিল ফাহিমের চার লাখ মার্কিন ডলার চুরি করেন। এরপর বিষয়টি আড়াল করতে হত্যার পর তার ইলেক্ট্রিক করাত দিয়ে খণ্ড বিখণ্ড করেন। এ ঘটনায় হাসপিলকে ফাস্ট ডিগ্রি হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

ফাহিম সালেহ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ছিলেন। তিনি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা ছিলেন। এছাড়া নাইজেরিয়াভিত্তিক স্কুটার স্টার্ট-আপ গোকাদার প্রধান নির্বাহী ছিলেন ফাহিম।

২০২০ সালের ১৩ই জুলাই নিজ অ্যাপার্টমেন্টে খুন হন ফাহিম। এই ঘটনায়  তখন তার ব্যক্তিগত সহকারী হাসপিলকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ওই বছরের ১৩ই অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

আইনজীবীরা বলছেন, হাসপিল ফাহিমকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেন। আদালতে তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন।

অন্যদিকে তার আইনজীবীদের দাবি, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন হাসপিল। এজন্য তার সাজা কমানোর দাবি জানিয়েছেন আইনজীবীরা। যদিও আইনজীবীদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন জুরিবোর্ড।

আগামী ১০ই সেপ্টেম্বর এই মামলায় হাসপিলের সাজা ঘোষণার তারিখ ধার্য করা হয়েছে। এ মামলায় তার ২৫ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

সূত্র: সিএনএন

এইচআ/ 

ফাহিম সালেহ পাঠাও সিইও

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250