প্রতীকী ছবি
করতোয়া
মাহবুব রহমান
বৃষ্টি শেষে, এই স্নাত ও সবুজ মফস্বলে,
নির্মল হাওয়া ঘোরে।
জীবন ভালোবেসে যাপন করেছি আমি,
কত কত দিন
তার সুরভি, গন্ধ, মদিরা
আজ এই সব মনে পড়ে যায়।
নদীটি নীরব হয়ে আছে বালিকার মতো মন তার
বালকের মতো হৃদয় নিয়ে আমি হাটি তার তীরে তীরে।
নিমগ্ন প্রেম নিয়ে একা একা ঘোরে যে কিশোর,
তার পূর্বরাগের চেয়ে
শ্রেষ্ঠ কোনো মুহুর্তের অভিজ্ঞতা নেই মহকালে।
ছোট ছোট ঘাসফুল,
মেয়েদের নাকফুলের মতো
বেগুনি ও নরম,
সেখানে শিশির জমে আছে যেন কাঁচের জলবিন্দু।
ফের হাওয়ায় দোলে উঠে বৃক্ষ-পত্র-পল্লব-শাখা
আমি আনমনে হাঁটি।
কূল কূল শব্দ তুলে বয়ে যায় এই মফস্বলের নদী,
আমি শুধু ভালোবেসে পাই তারে,
জলের শরীর ও শব্দসহ সে আসে কাছে।
কখনো করতোয়া, কখনো মহানন্দা, কখনো তালমা
এইসব ডাক নাম তার।
একা একা ভালোবেসে সুখ পাই,
সত্যের মতোই সেই সুখানুভূতি।
……………………………..
……………………………..
এখন
প্রতিটি সকাল আসে ধীর লয়ে, বাতাসে ফুলের গন্ধ,
পাখিদের ডাক মুহুর্তে মিলায় বাতাসে,
শাখায় শাখায় দোলে মাধবীলতা,
যেন আমাকে আরও সুন্দর,
আরও সহজ, সরল, স্বাভাবিক ও স্নিগ্ধময় হতে
প্রেরণা যোগায়।
তাই,
গোপনে গোপনে আমি প্রস্তুত করে চলি নিজেকে।
রবি/ওআ/এইচ.এস
খবরটি শেয়ার করুন