ছবি- সংগৃহীত
ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের টানা পাঁচ দিনের ছুটিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে লাখো ভ্রমণপিপাসুর সমাগম ঘটবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সাড়ে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস এবং পাঁচ শতাধিক রেস্তোরাঁসহ পর্যটন-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। এ জন্য চলছে ধোয়া-মোছাসহ সাজসজ্জা ও অলংকরণের শেষ পর্যায়ের কাজ।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, পুরো রমজান মাস সৈকতের পাড় পর্যটকশূন্য থাকায় ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। ঈদের টানা ছুটি উপলক্ষে ৫০ শতাংশের বেশি হোটেল-মোটেলের কক্ষ ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। ঈদের আগে ও ছুটির দিনগুলোয় শতভাগ বুকিং হওয়ার আশা করছেন তারা।
এর আগে বিগত কয়েক বছর করোনার কারণে সাগরের নোনাজল ও বিস্তৃত বালিয়াড়ির সৈকতে পর্যটন ব্যবসায় ধস নেমেছিল। হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট ব্যবসায়ীরা এ খাত থেকে ফিরে আসার কথাও বলেছিলেন। গত বছর থেকে সব সংকট পেরিয়ে তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় আছেন।
চলতি বছর পর্যটন মৌসুমের শুরুতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নির্বাচনি সহিংসতার কারণে অনেকটা ভাটা পড়ে কক্সবাজার পর্যটনশিল্পে। চলতি রমজান মাসও পর্যটকশূন্য ছিল প্রকৃতির এই নৈসর্গিক এলাকা। তাই ঈদ ও পয়লা বৈশাখের টানা পাঁচ দিনের বেশি ছুটিতে আবারও স্বপ্ন দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ী মো. আবদুর রহমান বলেন, পর্যটকদের বরণে ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। টানা ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসবেন। আর অতিরিক্ত পর্যটকের চাপে যাতে হোটেল কক্ষের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং কক্ষ পেতে বিড়ম্বনায় না পড়েন, তাই অনলাইনে আগাম খোঁজখবর নেওয়ার পরামর্শ তাদের।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, আগামী ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা পাঁচ দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে প্রতিদিনই দেড় লাখের বেশি পর্যটক সমাগম ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে ঈদে এবারের টানা ছুটিতে অন্তত ৮ লাখ পর্যটক সমাগম ঘটতে পারে। সমুদ্রসৈকতে পেট্রোল টিমের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্ট বসানো হয়েছে সিসি ক্যামরা।
আই.কে.জে/