বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** এক মিনিট ইন্টারনেট বন্ধের পরিকল্পনা অবশেষে বাদ *** আবার আলোচনায় মুরাদনগর, এবার মা-ছেলেসহ ৩ জনকে... *** আশুরা উপলক্ষে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা, কোনো ঝুঁকি নেই: ডিএমপি *** বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণসহ তিনটি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন *** বেশি সন্তান নারীর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো: গবেষণা *** ভারতে আবার বন্ধ পাকিস্তানিদের ইউটিউব চ্যানেল *** জুনে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি, জুলাইয়ে কতটা হবে *** আমেরিকার সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে যাচ্ছে ভারত: পেন্টাগন *** সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি জাতীয় সংসদ ছাড়া কেউ করতে পারবে না: আমীর খসরু *** তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে সব দল একমত: আলী রীয়াজ

রাজনৈতিক বিতর্কে বেড়েছে ‘এমপুরান’ সিনেমার দর্শক

বিনোদন ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, ৬ই এপ্রিল ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

গত বছর মালয়ালম সিনেমা ‘মানজুম্মেল বয়েজ’ সাড়া ফেলেছিল ভারতজুড়ে। ওটিটিতে মুক্তির পর বাংলাদেশেও সিনেমাটি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছিল। বিশ্বজুড়ে প্রেক্ষাগৃহ থেকে ২৪২ কোটি রুপি আয় করেছিল চিদাম্বরাম পরিচালিত মানজুম্মেল বয়েজ। পেয়েছিল মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার খেতাব। 

এ বছর সে রেকর্ড ভেঙে দিল মোহনলাল অভিনীত ‘এল টু: এমপুরান’। গত ২৭শে মার্চ মুক্তি পাওয়া এ সিনেমা মাত্র ১০ দিনেই পেরিয়েছে ২৫০ কোটির মাইলফলক।

সিনেমা হলে এখনো এমপুরান দেখতে দর্শকের যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, তাতে অচিরেই আড়াই শ’ কোটির মাইলফলক পেরিয়ে যাবে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

সিনেমা বিশ্লেষকদের আশা, প্রথম মালয়ালম সিনেমা হিসেবে তিন শ’ কোটির ঘরও পেরোতে পারে পৃথ্বীরাজ সুকুমারণ পরিচালিত এমপুরান। এটি ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘লুসিফার’ সিনেমার সিকুয়েল।

৩০ কোটি রুপির বাজেটে তৈরি লুসিফার আয় করেছিল ১২০ কোটি রুপির বেশি। দ্বিতীয় পর্ব এমপুরানের ক্ষেত্রে বাজেট কয়েক গুণ বাড়িয়ে ১৮০ কোটি করেছিলেন নির্মাতা, সাড়াও পাচ্ছেন কয়েক গুণ বেশি।

মুক্তির মাত্র তিন দিনেই ১০০ কোটির মাইলফলক পেরিয়েছিল এমপুরান। মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রিতে এমন ঘটনা এটাই প্রথম। তবে এমপুরানের ই সাফল্যে লেগেছিল রাজনৈতিক বিতর্কের ধাক্কা। বিজেপি ও আরএসএস নেতাদের আপত্তিতে মুক্তির পর আবারও সিনেমাটিকে তোলা হয় সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনের কাঠগড়ায়। নতুন করে ১৭টি দৃশ্য বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ২০০২ সালে ভারতের গুজরাটে ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, যেটি গুজরাট রায়ট নামে পরিচিত, সে ঘটনার কিছু অংশ উঠে এসেছে এমপুরান সিনেমায়। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়েছে বিজেপি ও আরএসএসের নেতারা। 

সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই নানাভাবে উসকানি দিয়ে আসছিল বিজেপি ও আরএসএসের নেতারা। তাদের তীব্র বিরোধিতার মুখে এমপুরান আবার দেখেছেন সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্যরা। ১৭টি দৃশ্যে সংশোধনী দেন তারা। নির্মাতারা মেনেও নেন। 

সেসব দৃশ্য বাদ দিয়ে হলে এখন নতুন সংস্করণ চললেও দর্শকদের আগ্রহে এতটুকু ভাটা পড়েনি। রাজনৈতিক বিতর্কে নতুনভাবে হাওয়া লেগেছে এমপুরানের সাফল্যের পালে।

এইচ.এস/

সিনেমা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন