রবিবার, ১৯শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** পুঁজিবাজার চাঙা করতে আইসিবিকে ১০০০ কোটি টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা *** অগ্নিনির্বাপণে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে, দাবি উপদেষ্টার *** নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকেরা *** দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ *** ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকির পর ভারতকে পারমাণবিক বোমার ভয় দেখালেন আসিম মুনির *** এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে: হাসনাত আবদুল্লাহ *** দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি পেল বিএনপি, অপেক্ষায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স *** আ. লীগ ফিরলে শেখ হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান *** ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা প্রত্যাখ্যান, ভুখা মিছিল ৩টায় *** তালেবান শাসকদের অবশ্যই ভারত–সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠীকে দমন করতে হবে: পাকিস্তানি সেনাপ্রধান

অনাস্থা ভোটের মুখে নরেন্দ্র মোদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:৩০ অপরাহ্ন, ২৬শে জুলাই ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের মণিপুর রাজ্যের সহিংসতা নিয়ে মুখ না খোলায় সংসদে (লোকসভায়) অনাস্থা ভোটের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করলে এটি গ্রহণ করেন স্পিকার ওম বিরলা। তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে কয়েকদিনের মধ্যেই ভোটের তারিখ ঘোষণা করবেন তিনি।

বুধবার (২৬ জুলাই) কংগ্রেসের এক আইনপ্রণেতা এই অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করেন। মূলত সরকারের পতন ঘটাতে এ ধরনের ভোট হয়ে থাকে। যেমনটা হয়েছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ক্ষেত্রে।

তবে ইমরানের মতো মোদির প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর কোনো শঙ্কা নেই। এছাড়া বড় কোনো সমস্যায়ও পড়বেন না তিনি। কারণ ৫৪৩ আসনের লোকসভায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জোট দল এনডিএ-এর।

বিরোধী দল কংগ্রেসও জানিয়েছে, মোদিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এ অনাস্থা ভোট প্রস্তাব করেনি তারা। মূলত মণিপুর ইস্যু নিয়ে যেন মোদি বিস্তারিত আলোচনা করেন সেজন্য এটির ব্যবহার করছেন তারা।

অনাস্থা ভোটের মুখে পড়ায় এখন মোদিকে নিজের সরকার নিয়ে বিস্তর আলোচনা করতে হবে। নিজের এবং সরকারে পক্ষে সাফাই গাইতে হবে।

জুনের প্রথম সপ্তাহে মণিপুরে জাতিগত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে এখন পর্যন্ত ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু এ সহিংসতা নিয়ে মুখ খোলেননি মোদি। যদিও গত সপ্তাহে দুই নারীকে বিবস্ত্র করে করে হাঁটানোর ঘটনা ভাইরাল হলে এ নিয়ে সংক্ষিপ্ত কথা বলতে বাধ্য হন তিনি।

২০১৪ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা মোদি এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনাস্থা ভোটের মুখে পড়লেন। ২০১৮ সালে তার সরকারের বিরুদ্ধে ভোটাভোটি হলেও সেটি বাতিল হয়ে যায়।

ভারতের আইন অনুযায়ী লোকসভায় যদি কোনো দল অনাস্থা ভোট আনতে চায়, তাহলে কমপক্ষে ৫০ জন আইনপ্রণেতাকে এই প্রস্তাবে সমর্থন জানাতে হবে। যা কংগ্রেস খুব সহজেই পেয়ে গেছে।

আরো পড়ুন: ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন–অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মনোজ কে ঝা নামের এক বিরোধী দলীয় নেতা সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমরা সবাই জানি সংখ্যায় আমরা এগিয়ে নেই। কিন্তু বিষয়টি সংখ্যা নয়, প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে অনাস্থা ভোট নিয়ে কথা বলতে হবে এটিই আসল।’

কংগ্রেস নেতা মানিকাম ঠাকুর বলেছেন, ‘বিরোধী দল অনাস্থা ভোট প্রস্তাব করতে বাধ্য হয়েছে কারণ এটিই ছিল শেষ অস্ত্র।’

সূত্র: বিবিসি

এসি/ আইকেজে 


নরেন্দ্র মোদি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250