সম্প্রতি ড. ইউনূসের পক্ষে ১৬০ নোবেলজয়ী ও বিশ্বনেতার দেয়া বিবৃতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভদ্রলোকের যদি এতোই আত্মবিশ্বাস থাকে যে তিনি অপরাধ করেননি, তাহলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৪টায় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ব্রিকস সম্মেলনে যোগদান-পরবর্তী এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, যারা বিবৃতি দিয়ে তার বিচার স্থগিত করতে বলেছেন তাদের বলছি, বিবৃতি না দিয়ে আইনজীবী পাঠাক। এক্সপার্টরা দেখুক, অনেক কিছু পাবেন। আমাদের দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সবকিছুই আইনমতো চলে।
তিনি বলেন, কেউ যদি ট্যাক্স না দেয় আর যদি শ্রমিকের অর্থ আত্নসাৎ করে, শ্রমিকদের পক্ষ থেকে যদি মামলা করা হয়, আমাদের কি সেখানে হাত আছে যে মামলা বন্ধ করে দেবো?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ট্যাক্স দেয়া সকল নাগরিকের দায়িত্ব। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে ট্যাক্স ফাঁকি দিলে কাউকে ছাড় দেয় না সে দেশের সরকার। বাংলাদেশেও ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা আইনানুযায়ী চলবে, কোনো বিবৃতি প্রভাবিত করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলা শ্রম আদালতের মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন দেড় শতাধিক নোবলজয়ীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এ বিষয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে গত ২২ আগস্ট রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে যান প্রধানমন্ত্রী। দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসার আমন্ত্রণে তিনি ২২-২৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলন শেষে রোববার সকালে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।
এসকে/ আই.কে.জে/