বুধবার, ১৭ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২রা শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মেঘালয়ের আনারস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:২৫ অপরাহ্ন, ২রা আগস্ট ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

গত বছর খাসি ম্যান্ডারিন (মেঘালয়ে উৎপাদিত এক ধরনের বিশেষ কমলা) এর সফল রপ্তানির পর, মেঘালয় সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ বিভাগ এবং মেঘালয় বেসিন ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (এমবিএমএ) সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে ১.৩ টন আনারসের বাজারের উপর দৃষ্টি নিবন্ধ করেছে।

এর মাধ্যমে মেঘালয় রাজ্যের কৃষকদেরকে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে পরিচিত করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি মেঘালয় থেকে উৎপাদিত আনারস দুবাই, কুয়েত বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে কৃষকেরাও তাদের কষ্টের ফল ভোগ করতে পারছেন। আন্তর্জাতিক বাজারে আনারস বিক্রি করার ফলে তারা দ্বিগুণ লাভবান হচ্ছেন।

গত বছর, ৪০ টন আনারস কর্ণাটকের বাজারে পাঠানো হয়, যা পরবর্তীতে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার বাজারে বিক্রি করা হয়।

এবছর, মেঘালয়ের উমদিহার গ্রামের উমদিহার আইভিসিএসে একটি মোবাইল প্রসেসিং ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যার মাধ্যমে প্রথম সপ্তাহেই ২৩ টনেরও বেশি আনারস প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব হয়েছে।

এ প্রসেসিং ইউনিট এক কিলোগ্রাম বা তার বেশি ওজনের (গ্রেড এ) আনারসগুলোকে প্রক্রিয়াজাত করে। আর ছোট ছোট আনারসগুলো (গ্রেড বি) কম মূল্যে বিক্রি করা হয়।

তবে ছোট ছোট আনারসগুলোর জন্য যেন কৃষকেরা ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, সেজন্য স্থানীয় খুচরা বিক্রেতাদের সাথে সমন্বয় করা হয়েছে। সম্প্রতি মেঘালয় থেকে এই গ্রেড বি এর আনারসগুলো বিক্রির জন্য গুয়াহাটিতে রিলায়েন্স রিটেল দোকানগুলোর সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয়। ফলে কৃষকেরা পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি দামে এই গ্রেড বি আনারসগুলো বিক্রি করতে পারছে।


মেঘালয়ে উৎপাদিত আনারসগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো এগুলো স্বাদে বেশি মিষ্টি এবং কম টক। তাছাড়া আনারস উৎপাদনের জন্য এখানে তুলনামূলকভাবে কম রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।

ফলে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় বাজারে এই আনারসের ব্যবসা করে কৃষকেরা লাভের মুখ দেখছেন। পূর্বে মধ্যস্বত্বভোগী এবং ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে কৃষকেরা তাদের ফসলের ন্যায্যমূল্য পেতো না। তাছাড়া তখন বাজারমূল্যের ব্যাপারেও তাদের এতো জ্ঞান ছিল না।

আরো পড়ুন: বিশ্বের ৭৫ শতাংশ বাঘের বাস এখন ভারতে, বেড়েছে নেপাল-ভুটানেও

পরবর্তীতে কৃষকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে সরকার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বর্তমান সময়ে সরকার তার উদ্দেশ্যে সফল। রাজ্য জুড়ে কৃষক সমবায় এবং কৃষক উৎপাদক গোষ্ঠী (এফপিও) স্থাপনের মাধ্যমে সরকার কৃষকদের সংগঠিত করার উদ্দেশ্যে কাজ করেছে। সরকারের প্রচেষ্টায় গত ৩ বছরে এ জাতীয় ৩৫০টিরও বেশি সংস্থা স্থাপিত হয়েছে।

মেঘালয়ের আনারসের এ বাজারকে আরো জনপ্রিয় করে তুলতে সরকার স্বাধীনতা দিবসের পরপরই দিল্লিতে আনারস উৎসব পালনের চিন্তাভাবনা করছে। এতে করে দিল্লিতেও মেঘালয়ের আনারস ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/ 

আনারস মেঘালয়

খবরটি শেয়ার করুন