ছবি: সংগৃহীত
না, এটি কোনো সিনেমার নাম নয়। এটি প্রথিতযশা সংগীতশিল্পী কনকচাঁপার মুখনিঃসৃত একটি উক্তি, যা তিনি নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূরকে নিয়ে করেছেন। ঢাকাই চলচ্চিত্রে এই সংগীত-অভিনয় জুটি অনেক কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন।
বর্তমানে লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন থেকে অনেকটা দূরেই আছেন শাবনূর। স্থায়ী আবাস গড়েছেন অস্ট্রেলিয়াতে। ব্যস্ততা কমেছে কনকচাঁপারও। আগের মতো রেকর্ডিং নিয়ে দৌড়ঝাঁপের বালাই নেই তার। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সফরে গেছেন তিনি। সেখানেই দেখা হয়ে গেল শাবনূরের সঙ্গে।
রোববার (২০ আগস্ট) মধ্যরাতে কনকচাঁপা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও আপলোড করেন। যেখানে শাবনূরের সঙ্গে সাক্ষাতের সেই আনন্দঘন মুহূর্ত ধরা পড়ে। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘এবার অস্ট্রেলিয়া আসার পরে আপনারা অনেকেই বলেছিলেন আমি যেন শাবনূরের সঙ্গে দেখা করি। আজ শাবনূর এসেছিল আমার সঙ্গে দেখা করতে।’
কনকচাঁপার ভিডিও দেখে মুগ্ধ ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরা। কমেন্ট বক্সে তারা প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন দুজনকে। এক ফ্রেমে এই দুই তারকাকে দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত তাদের অনুরাগীরা।
ভিডিওতে দেখা যায়, ছেলে আইজানকে সঙ্গে নিয়ে কনকচাঁপার সঙ্গে দেখা করতে আসেন শাবনূর। এ সময় দৌড়ে এসে কনকচাঁপাকে জড়িয়ে ধরেন নায়িকা। বলেন, ‘আগে সালাম (পা ছুঁয়ে) করে নিই।’ শাবনূরকে বাধা দিয়ে বুকে জড়িয়ে নেন কনকচাঁপা। এরপর দুজন আড্ডায় মেতে ওঠেন। উঠে আসে পুরোনো দিনের আলাপ-সালাপ।
শাবনূর বলেন, ‘আমি এই খুশি ধরে রাখতে পারছি না। এত বছরে পরে দেখা, আমি ভাবতেও পারিনি। বাংলাদেশে থাকতেও তার সঙ্গে দেখা হয় না, সে অনেক ব্যস্ত। এখানে অস্ট্রেলিয়া এসে অবশেষে দেখা হয়ে গেল।’
কনকচাঁপা জানালেন, তিনি নিজেও ভীষণ আনন্দিত। শাবনূরের সঙ্গে তার সম্পর্ক আত্মিক। এই সংগীতশিল্পীর কথায়, ‘আমি এবং শাবনূর আজ খুবই আনন্দিত। অনেক আগে থেকেই অস্ট্রেলিয়ায় আসা-যাওয়া হয়। কিন্তু দেখা গেছে, আমি যখন অস্ট্রেলিয়ায় এলাম, তখন শাবনূর বাংলাদেশে।
তো এবার অবশেষে সিনক্রোনাইজ হয়েই গেল। শাবনূর যতটা আনন্দিত, উত্তেজিত, আমারও ঠিক একই অবস্থা। আমার প্লেব্যাকের ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে ৩৫টা বছর শাবনূরের সঙ্গে কাজ করেছি। আমাদের দুজনকে বলা যায়, দুই দেহ এক প্রাণ। আমার গান শাবনূরের ঠোঁটে পরিপূর্ণতা পেয়েছে। এর ক্রেডিট অবশ্য আমি শাবনূরকেই দিতে চাই।’
আরো পড়ুন: দেড় যুগ পর ‘দুই নয়নের আলো’র সিক্যুয়েল আসছে
কথার ফাঁকেই সুরেলা কণ্ঠের জন্য কনকচাঁপার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন শাবনূর। তিনি বলেন, ‘আমি যখন আপুর কণ্ঠে পর্দায় অভিনয় করতাম, দর্শক ভাবত আমিই গাইছি।’ তার ক্যারিয়ারে এতগুলো জনপ্রিয় গান উপহার দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান কনকচাঁপাকে। আড্ডা শেষে দুজন আবার ঘুরতে বেরিয়ে যান।
এসি/ আই. কে. জে/