সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইএআরএন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের সাথে বিশ্বব্যাংকের চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৮:৩০ অপরাহ্ন, ২৭শে আগস্ট ২০২৩

#

বাংলাদেশ সরকারের সাথে বিশ্বব্যাংক চুক্তি স্বাক্ষর

বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে, বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত ‘ইকোনোমিক এসিলারেশন এন্ড রিজাইলেন্স ফর নিট (ইএআরএন)’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের সাথে বিশ্বব্যাংক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য ৩ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা ব্যয় হিসাব ধরা হয়েছে। 

রোববার (২৭ আগস্ট) এনইসি -২ সম্মেলন কক্ষে দুই পক্ষের মধ্যে উক্ত চুক্তিু স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন  অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবংবিশ্বব্যাংকের পক্ষে স্বাক্ষর করেন  বাংলাদেশ  এর বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুলায়ে সেক। 

যুব নারীদের ওপর অধিকতর মনোযোগ প্রদানের মাধ্যমে সরকারকে একটি সামগ্রিক পদ্ধতি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা, নিট (NEET: Not in Education, Employment, or Training) জনগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়ন, শিক্ষা এবং শ্রমবাজারে প্রবেশাধিকার সহজতর করার মাধ্যমে মজুরি এবং আত্ম-কর্মসংস্থান বৃদ্ধির দ্বারা দেশের নিট যুব জনসংখ্যা হ্রাস করার জাতীয় লক্ষ্য অর্জন করা এ মোট ৩ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের ৬৪ জেলার ২৫০ টি উপজেলায় বাস্তবায়িতব্য এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।  

নিধা‍র্রিত লক্ষ্য বাস্তবায়নে কয়েকটি ধাপে প্রকল্পটি পরিচালিত হবে। প্রথমে নির্দিষ্ট গ্রামীণ অঞ্চল থেকে উপযুক্ত নিট যুবদের সনাক্ত করার জন্য একটি পদ্ধতি নির্ধারণ করবে এবং পরবর্তী ধাপে প্রকল্পটি চিহ্নিত উপযুক্ত গ্রামীণ নিট যুবকদের, বিশেষ করে যুব নারীদের জন্য প্রাসঙ্গিক দক্ষতা বিকাশের পাশাপাশি তাদের শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার অথবা শিক্ষা গ্রহণের জন্য দ্বিতীয়বার সুযোগ তৈরি করবে এবং প্রক্রিয়া সহজতর করবে। 

দক্ষতা বিকাশের সুবিধাগুলো নারীরা সাধারণত যে সকল বাধার সম্মুখীন হয় যেমন, অবস্থান, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অবকাঠামো এবং শিক্ষার পরিবেশ, নমনীয় কোর্সের সময়সূচী, ইচ্ছানুযায়ী কোর্স পছন্দের সুযোগ, শিশু-যত্ন সুবিধা বা চাইল্ড কেয়ার সেন্টার, প্রশিক্ষকদের জেন্ডার এবং আদর্শ চিহ্নিতকরণ ইত্যাদির বিপরীতে সমাধান হিসেবে কাজ করবে। 

সুবিধাভোগীরা নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক-মানসিক ও আচরণগত দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি বীজ অর্থায়ন, নিয়োগকর্তা এবং শ্রমবাজারের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা পাবেন। 

এছাড়াও, প্রকল্পটি যুবকদের জন্য, বিশেষ করে নারীদের সামাজিক বাধাগুলোকে লাঘব করণের মাধ্যমে তাদের আর্থ-সামাজিক অন্তর্ভুক্তির জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করবে। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় এবং অ-রাষ্ট্রীয় অংশীজনদের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। 

এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের যুব সমাজের প্রায় নয় লক্ষাধিক যুব/যুব নারী উপকারভোগীর আওতায় আসবে। এর পাশাপাশি প্রায় দুই কোটির অধিক যুব/যুব নারী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবে বলে সরকার প্রত্যাশা করছে। এছাড়া, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণে এই প্রকল্প ভূমিকা পালন করবে। 

উল্লেখ্য যে, গত জুনে একনেক এর সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ‘ইকোনোমিক এসিলারেশন এন্ড রিজাইলেন্স ফর নিট (ইএআরএন)’ প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়েছে। গ্রামীণ পর্যায়ে নিট তরুণ-তরুণীদেরকে এ প্রকল্পের আওতায় প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচী সম্পর্কে অবহিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচীরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচী জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে গ্রামীণ পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে চলমান থাকবে।

এসকে/ 

বিশ্বব্যাংকের ঋণ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর চুক্তি স্বাক্ষর বাংলাদেশ সরকার

খবরটি শেয়ার করুন