ছবি: সংগৃহীত
বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। গত তিনদিনে সাত হাজার মণ ইলিশ বাজারে এসেছে। তবু ব্যবসায়ীরা মাছ কম ধরা পড়ার অজুহাতে এক হাজারের বেশি দামে ইলিশের কেজি বিক্রি করছেন।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) চাঁদপুর বড়স্টেশন বাজারের চিত্র এটি। এ অবস্থায় ভরা মৌসুমে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার এক কেজি ইলিশের জন্য ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১২০০-১৫০০ টাকা। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা এই বাজারে এসে হতাশ।
ক্রেতারা বলছেন, ভরা মৌসুমে চাঁদপুরের ইলিশের চাহিদা থাকে বেশি। এ সুযোগে দামও বেশি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাছ কম ধরা পড়ায় দাম বেশি। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।
জেলেরা জানিয়েছেন, সাগরে প্রচুর ধরা পড়লেও চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় এখনও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাচ্ছেন না জেলেরা। নদীতে জাল ফেলে যে পরিমাণ মাছ পাচ্ছেন, তাতে খরচের টাকা উঠাতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। মৌসুমের বাকি সময়ে প্রচুর ইলিশ পাওয়ার আশায় রয়েছেন তারা।
ঢাকা থেকে বড়স্টেশন মাছ বাজারে ইলিশ কিনতে আসা হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে হাঁটাচলা করাই কঠিন। প্রচুর ইলিশ থাকলেও দাম কমাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। ভেবেছিলাম, বেশি করে ইলিশ কিনবো। কিন্তু এখানে এসে হতাশ হয়েছি। ১২০০ টাকা কেজির নিচে কোনও মাছ নেই। তাও এক কেজির নিচের সাইজের। এ জন্য অল্প পরিমাণ কিনেছি।’
ইলিশ ব্যবসায়ী বিপ্লব খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নোয়াখালী, হাতিয়া, চরফ্যাশন থেকে চাঁদপুর ঘাটে ইলিশ আসতে শুরু করেছে। সবসময় মাছের সরবরাহ একরকম থাকে না। সরবরাহের ওপর দাম নির্ভর করে। এখন সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি। তবে সরবরাহ বাড়লে দাম এমনিতেই কমে যাবে।’
এব্যাপারে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী সবে বরাত সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শুক্রবার থেকে এখানে মাছের সরবরাহ বেড়েছে। গত তিন দিনে সাড়ে সাত হাজার মণ ইলিশ এসেছে।’
পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও দাম না কমার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে কেজিতে ১০০-১৫০ টাকা কমেছে। সরবরাহ অনুপাতে ক্রেতা বেশি। এখন যে পরিমাণ সরবরাহ, তাতে দাম কমার সম্ভাবনা নেই। এখন মৌসুম শুরু হয়েছে। মৌসুমের আগামী দিনগুলোতে যখন দিনে আট থেকে ১০ হাজার মণ ইলিশ বাজারে আসতে শুরু করবে, তখন দাম কমে যাবে।’
এম.এস.এইচ/
খবরটি শেয়ার করুন