ছবি-সংগৃহীত
বলিউডের খলনায়কদের কথা ভাবলেই যে নামগুলো চোখের সামনে ভেসে ওঠে তাতে সবসময় থাকবেন শক্তি কাপুর। কিছু কমেডি ছবিতে কাজ করলেও, শক্তি কাপুরকে কিন্তু আজও লোকে সেই দুর্ধর্ষ ভিলেন হিসেবেই চেনে।
সম্প্রতি এক পডকাস্ট শোতে এসে জীবনের নানা অজানা কথা ভাগ করে নিতে দেখা যায় তাঁকে। আর সেখানেই শক্তি কাপুর জানান, ‘আমি এখনও বউ-এর সামনে হাত জোড় করি’। সঙ্গে অভিনেতা জানান, তাঁরই অনুরোধে কেরিয়ার ত্যাগ করেন স্ত্রী শিবাঙ্গী কোলহাপুরে। কারণ, তিনি একজন হাউজ ওয়াইফকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন।
শক্তি কাপুর আর শিবাঙ্গী জোশির প্রমের শুরুটা হয়েছিল ছবির সেটে। শক্তি কাপুর তখন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে খুব পরিচিত নাম। আর শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ করতে এসেছিলেন শিবাঙ্গী।
বলিউডের খ্যাতনামা নায়িকা পদ্মিনী কোলহাপুরের বোন ছিলেন শিবাঙ্গী। শক্তি কাপুরের থেকে বয়সে ১২ বছরের ছোট হওয়া সত্ত্বেও একে-অপরের প্রেমে পড়তে বেশি সময় লাগেনি।
শক্তি বউয়ের প্রশংসা করে পডকাস্টে বলেন, ‘আমরা নিজেদের মধ্যে একটা আলাদাই টান অনুভব করতাম। একে-অপররের প্রেমে পড়ি গভীরভাবে। এমন দুর্দান্ত আর ঘরোয়া মেয়ে খুঁজে পাওয়া খুব বিরল ঘটনা। তাই যখন পেলাম আর ছেড়ে দিতে পারিনি।’
১৯৮২ সালে বিয়ে করেন শক্তি কাপুর আর শিবাঙ্গী কোলহাপুরে। প্রথম থেকেই শক্তি চাইতেন একজন ঘরোয়া বউ। তাই যখন শিবাঙ্গীর কাছে সাওয়ান কুমার টাকের ‘লায়লা’-র অফার আসে, তখন তিনি গিয়ে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করেছিলেন হবু স্ত্রী-কে যে তাদের ভালবাসার জন্য যেন সে উদীয়মান কেরিয়ার ত্যাগ করে।
আরো পড়ুন: ‘ওয়াই প্লাস’ নিরাপত্তা পাচ্ছেন শাহরুখ, সাথে থাকবে ৬ কমান্ডার, ৪ পুলিশ
দুই পরিবারের মত ছিল না এই বিয়েতে। তবে আইনি বিয়ে করে নেন তাঁরা। এই পডকাস্টেই শক্তি বলেন, ‘আমি ওর কাছে গিয়ে অনুরোধ করেছিলাম যাতে সে কাজ না করে। বলেছিলাম, আমি তোমাকে হাউজওয়াইফ হিসেবেই চাই।’
অভিনেতা আরও বলেন, ‘এখনও ওর সামনে হাতজোড় করি। নতজানু হই। কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীনই বিয়ে করেছিলাম। ও আমাকে আরও অনেক সাফল্য ও গুডলাক এনে দিয়েছে। আমাদের দুটি চমৎকার সন্তান হয়েছে।’
১৯৮৪ সালে জন্ম হয় সিদ্ধান্ত কাপুরের। ১৯৮৭ সালে আসেন শ্রদ্ধা কাপুর। শক্তির দুই সন্তানই বলিউডে কাজ করছেন। সিদ্ধান্ত রয়েছেন পরিচালনায়, অভিনয়ও করেন। আর শ্রদ্ধা বলিউডের খ্যাতনামা মুখ। প্রথম ছবি আশিকি ২ থেকেই সাফল্য পান তিনি। শেষ শ্রদ্ধাকে দেখা গিয়েছে তু ঝুটি ম্যায় মক্কার ছবিতে।
এসি/ আই.কে.জে