নারিকেল দিয়ে সাধারণত দুধ, তেল আরও কত কী তৈরি হয়! ঝাল থেকে মিষ্টি সব রকম রান্নায় নারিকেল ব্যবহার করা যায়। নারিকেল যেমন কাঁচা খাওয়া যায়, তেমনই তৈরি করা যায় মজার সব পিঠা, পায়েস, নাড়ু, সন্দেশ ইত্যাদি।
প্রতি ১০০ গ্রাম নারিকেলে রয়েছে ক্যালোরি, ফ্যাট, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন। এছাড়াও ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি-৬ ও বি-১২ আছে। নারিকেল খেলে মেলে নানা উপকার। এবার ওজন কমাতে নারিকেল খাওয়ার উপকারীতা জেনে নেয়া যাক-
সাধারণত ওজন কমানোর প্রক্রিয়া সবার জন্য এক নয়। এর জন্য সবাই ভিন্ন ভিন্ন ডায়েট করে থাকেন। তবে ওজন কমানোর সময় সবাই নির্ভয়ে নারিকেল খেতে পারেন। এটি একটি স্বাস্থ্যকর ফল। আমাদের দেশে এটি বেশ জনপ্রিয় একটি ফল। এই ফলের পানি ব্যাপক ব্যবহারের জন্য পরিচিত। এর বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। নারিকেল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ। ওজন কমানোর জন্য এটি একটি দুর্দান্ত উৎস।
ক্যালোরি কম
ওজন কমাতে হলে আপনাকে ক্যালোরি পোড়াতে হবে। নারিকেল পানিতে কম ক্যালোরি থাকে। ওজন কমানোর ডায়েটে যুক্ত করার জন্য এটি একটি সতেজ পানীয়।
পুষ্টিতে ভরপুর
নারিকেল পানি পুষ্টি এবং খনিজে ভরপুর। এতে এনজাইম এবং ইলেক্ট্রোলাইট রয়েছে। যা শরীরে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
ফাইবার সমৃদ্ধ
নারিকেলে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে। যা ওজন কমাতে সহায়তা করে। হজম শক্তিও বাড়িয়ে দেয়। এটি দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখে।
কম খাবারের আকাঙ্ক্ষা
নারিকেলে মাঝারি-চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড ফ্যাট রয়েছে। যা খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কমাতে পারে। আপনাকে পরিপূর্ণ রাখতে সহায়তা করে।
মেটাবলিজম বাড়ায়
নারিকেলে এনজাইম, পটাসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি রয়েছে। যা বিপাক বাড়াতে সহায়তা করে। শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়। তাই ওজন কমতে থাকে।
বায়ো এনজাইম
নারিকেলে বায়ো এনজাইম রয়েছে। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। খাবার হজম সহজ করতে সহায়তা করে। এটি দ্রুত চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।
এসকে/