ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম আরও কমেছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক গোলযোগের কারণে চাহিদা হ্রাসের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে জ্বালানি পণ্যটি আরও দর হারিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, শুক্রবারও (৬ অক্টোবর) স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের মূল্য নিম্নমুখীই রয়েছে। প্রতি ব্যারেলের দাম স্থির হয়েছে প্রায় ৮৪ ডলারে। আগের দিন বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) যা ছিল ৮৫ ডলার ৮১ সেন্ট।
একই কর্মদিবসে ফিউচার মার্কেটে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দরও নিম্নগামী আছে। ব্যারেলপ্রতি মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ৮২ ডলার ৩৫ সেন্টে। আগের কার্যদিবসে তা ছিল ৮৪ ডলার ২২ সেন্ট।
সবমিলিয়ে চলতি সপ্তাহে ব্রেন্টের দরপতন ঘটেছে ১১ দশমিক ৭ শতাংশ। আর ডব্লিউটিআইয়ের দাম কমেছে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ। গত মার্চের পর সাপ্তাহিক ভিত্তিতে যা টানা সর্বোচ্চ পতন।
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়িয়ে যাচ্ছে বিশ্বের বৃহৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। তাতে বিশ্বজুড়ে প্রবৃদ্ধি মন্থর হতে পারে। সেই সঙ্গে জ্বালানির চাহিদা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এ আশঙ্কায় তেলের দাম কমছে। চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত তেলের উত্তোলন কমিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বের দুই শীর্ষ উৎপাদক রাশিয়া ও সৌদি আরব। এমনটি ঘটলেও উদ্ভূত শঙ্কায় জ্বালানি পণ্যটির বিশ্ববাজার চাপে পড়বে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার আভাস মিলেছে। এতে তেলের চাহিদা বৃদ্ধির কথা ছিল। কিন্তু হয়েছে উল্টো। মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান বেড়েছে। পাশাপাশি আরেকবার সুদহার বাড়ানোর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
ওআ/
খবরটি শেয়ার করুন