শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করেছেন ৭ বিয়ে, বউকে বিক্রির চেষ্টায় আটক যুবক

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:০৬ অপরাহ্ন, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে একে একে সাতটি বিয়ে করেছেন শাহরিয়ার নাফিজ ইমন ওরফে বুলবুল (৩৫) নামে এক যুবক। সর্বশেষ বউকে যৌনপ্লীতে বিক্রির চেষ্টা করলে পুলিশের জালে ধরা পড়েন ঐ যুবক।

শনিবার (২৩শে ডিসেম্বর) সকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানান রাজবাড়ী পুলিশ সুপার (এসপি) জি.এম. আবুল কালাম আজাদ।

গ্রেপ্তার বুলবুল চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দুধপাতিলা গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে।

পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ জানান, এ যুবক জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের অডিট অফিসার হিসেবে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, যশোর, পাবনা, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্বে আছে বলে পরিচয় দিয়ে পাংশা উপজেলার ১৭ই বছর বয়সী এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে চলতি বছরের ৭ই মার্চ সে তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করে। 

তিনি আরো বলেন, গত ২৭শে আগস্ট সে ওই কিশোরীকে ফরিদপুর শহরের রথখোলা যৌনপল্লীতে নিয়ে বিক্রির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এছাড়া সে ভুক্তভোগীর মায়ের ঘর থেকে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার এবং নগদ ৮ লাখ টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে গত ১৮ই অক্টোবর তার বিরুদ্ধে পাংশা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এ মামলায় তাকে নাটোর জেলা সদর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন: মায়ের মানত পূরণে ৭ বিয়ে, গড়েছেন সুখের সংসার

তিনি বলেন, এ যুবক গত ৭ই মার্চ থেকে ২৬শে আগস্ট পর্যন্ত পাংশা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সরকারি বিভিন্ন দফতরে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দেখিয়ে ৭ জনের কাছ থেকে ২৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া সে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সুন্দরী নারীদের টার্গেট করে তাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করে এবং সেসব নারীদের আত্মীয়-স্বজনদের সরকারি চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, সে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৭টিরও বেশি বিয়ে করেছে বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ৪টি প্রতারণার মামলা এবং একটি চোরাচালানের মামলা রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা থানায় তার বিরুদ্ধে ২টি ওয়ারেন্ট আছে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মুকিত সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.ইফতেখারুজ্জামান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা ও ডিআইও-১ বিপ্লব দত্ত চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এসকে/ 

সরকারি কর্মকর্তা ৭ বিয়ে সরকারি কর্মকর্তা

খবরটি শেয়ার করুন