ছবি: সংগৃহীত
অনেকেরই কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে। কারও কারও ধারণা, চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খেলেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। সব ক্ষেত্রে এ ধারণা ঠিক নয়। আসলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে কি না, তা নির্ভর করে প্রত্যেকের শরীরের বিপাক হারের উপর। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। খাওয়াদাওয়াও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পুষ্টিবিদদের মতে,প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু বীজ ও বাদাম রাখলে কেলেস্টেরলের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কয়েক ধরনের বাদাম ও বীজ খেতে পারেন। যেমন-
পেস্তা: কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে পেস্তা বাদাম খেতে পারেন। তবে লবণ দেওয়া নয়, লবণ ছাড়া পেস্তা বাদাম খাবেন। পেস্তা বাদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা কেলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: এলাচের যত গুণ গুণাবলী
কাঠবাদাম: কাঠবাদামে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ফাইবার আর ফাইটোস্টেরল থাকে। এসব উপাদান হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী। এই বাদাম শরীরে কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।
তিসির বীজ: তিসির বীজ ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস। কোলেস্টেরল কমাতে ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমাতে এই বীজ ডায়েটে রাখতে পারেন। বিভিন্ন রকম স্মুদির সঙ্গে, ওট্সের সঙ্গে মিশিয়ে এই বীজ খেতে পারেন।
আখরোট: আখরোটে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
তিল: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ডায়েটে রাখতে পারেন তিল। এতে থাকা ফাইটোস্টেরল শরীর চাঙ্গা রাখে, কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। সালাদ তৈরিকে কিংবা নানারকম রান্নায় তিল ব্যবহার করতে পারেন।
এসি/আইকেজে