বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরুর গলায় ঘণ্টা বাঁধা হবে কিনা তা নিয়ে গণভোট!

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৩১ অপরাহ্ন, ২১শে ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

গরুর গলায় ঘণ্টা বাঁধা হবে নাকি হবে না, এ নিয়ে চলছে গণভোটের প্রস্তুতি! এমন অবাক করা ঘটনাটি ঘটেছে সুইজারল্যান্ডের আরওয়ানজেন নামে একটি গ্রামে।চলতি বছরের শুরুর দিকে আরওয়ানজেন গ্রাম থেকে অভিযোগ ওঠে; গরুর গলায় বাঁধা ঘণ্টার শব্দে রাতে ঘুমাতে পারছেন না স্থানীয়রা। 

মূলত, এক আবাসিক এলাকার পাশের মাঠে এক খামারে ১৫টি গরু ছিল। এর পাশেই এক অ্যাপার্টমেন্টে যারা থাকেন, তারাই বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তাদের দাবি গরুগুলোর গলায় বাঁধা ঘণ্টা রাতের বেলায় কৃষকেরা যেন খুলে নেন। কিন্তু গরুর গলায় বাঁধা ঘণ্টা সুইজারল্যান্ডে ঐতিহ্যবাহী এক প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত। এর ফলে, গরুর গলা থেকে ঘণ্টা খুলে নেওয়ার আবেদনে স্থানীয়দের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে ভোটের দাবিও ওঠে।

আরো পড়ুন: অডি গাড়ির চেয়েও দামি ছোট্ট এই পোকা!

এদিকে আরওয়ানজেনের মেয়র এ ঘটনায় হতবাক । তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো এমন অভিযোগ শুনলাম। আমি অবাক হয়েছি। গরু যে সত্যিই এত বিরক্তিকর, তা বোধের বাইরে ছিল!  মেয়র মজা করে বলেন, জানতে পারলাম এরাও মানুষকে বিরক্ত করতে পারে! এছাড়া বিষয়টি যে সাধারণ মানুষের মধ্যে এত প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে তাও তাকে অবাক করেছে।

এদিকে ওই গ্রামে ৪ হাজার ৮০০ বাসিন্দা রয়েছেন। এ অভিযোগের পক্ষে গ্রামের মোট বাসিন্দাদের ১০ ভাগের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। গরুর গলায় ঘণ্টা বাঁধার পক্ষে ১০৯৯টি সই সংগ্রহ করেছে একটি গ্রুপ। তাদের দাবি, গরুর গলায় সব সময় ঘণ্টা বেঁধে রাখার অধিকার কৃষকদের আছে! কিন্তু বিষয়টি থেমে থাকেনি; এ নিয়ে আগামী বছরের জুনে ভোটাভুটিও হবে বলে জানা গেছে।

আল্পস পবর্তমালার চারণভূমিতে চরে বেড়ানো গৃহপালিত পশুদের অবস্থান জানার জন্য একসময় তাদের গলায় ঘণ্টা বাঁধা শুরু হয়। তবে জিপিএস ট্র্যাকার এসে যাওয়ার পরে প্রাচীন এ পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা কমে। কিন্তু সুইসজীবনে ঘণ্টা এক প্রতীক হিসেবে ঠাঁই পেয়ে যায়।

এইচআ/ আই. কে. জে/ 

গরু সুইজারল্যান্ড ঘণ্টা

খবরটি শেয়ার করুন