মঙ্গলবার, ৭ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৮:০৩ অপরাহ্ন, ৫ই নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের নির্বিচার বোমাবর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞে সমর্থন ও আর্থিক সহযোগিতা দেয়া পশ্চিমা বিশ্বের নেতাদের বিরুদ্ধে সমালোচনার তোপ দেগেছেন ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ফিলিস্তিনে ইসরাইলের চলমান নৃশংসতাকে গণহত্যা অভিহিত করে অবিলম্বে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (৫ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেয়া এক পোস্টে গাজার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, এটা ভয়ঙ্কর ও লজ্জাজনক যে প্রায় ১০ হাজার বেসামরিক নাগরিককে গণহত্যা করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৫ হাজারই শিশু।

তিনি বলেন, গাজার পরিবার ব্যবস্থা শেষ করে দেয়া হয়েছে। হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্স বোমা ফেলা হয়েছে। শরণার্থী শিবিরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং তথাকথিত ‘মুক্ত’ বিশ্বের নেতারা ফিলিস্তিনে চলমান এই গণহত্যাকে অর্থায়ন ও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।

অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, যুদ্ধবিরতি হলো সবচেয়ে ন্যূনতম পদক্ষেপ যা অবিলম্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বাস্তবায়ন করা উচিত। অন্যথায় তাদের কোনো নৈতিক কর্তৃত্ব অবশিষ্ট থাকবে না।

আরো পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় ২০ লাখ মানুষের বিক্ষোভ

এর আগে গত সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে তোলা প্রস্তাবে ভারত ভোট না দেয়ায় কঠোর প্রতিক্রিয়া জানান কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। 

নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভারত সরকারের এমন অবস্থানে তিনি ‘হতবাক’ হয়েছেন। কংগ্রেস নেত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের হাজার হাজার পুরুষ, নারী ও শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে। ভারতের এই অবস্থান কার্যত বিশ্বশান্তির বিরোধী। খবর এনডিটিভি। 

গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় বর্বর হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৭৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। 

আরো পড়ুন: সৌদির আকাশে বাংলাদেশি নারীর সন্তান প্রসব

এছাড়া প্রায় ৮ হাজার ৫০০ আবাসিক ভবন ও ৪০ হাজার আবাসন ইউনিট ধ্বংস হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫টি মসজিদ, তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়, তিনটি গির্জা এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি ভবন রয়েছে।

এছাড়াও ইসরাইলির আগ্রাসনে স্বাস্থ্যসেবা খাতে ১০৫টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, ১৬টি হাসপাতাল, ৩২টি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র ও ২৭টি অ্যাম্বুলেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ২ লাখ ২০ হাজার অন্যান্য ইউনিটের ক্ষতির পাশাপাশি ৮৮টি সরকারী সদর দফতর এবং ২২০টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। 

এসকে/ 


ভারত গাজা যুদ্ধবিরতি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250