সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরো বাড়বে, আশা বাইডেনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, ২৫শে নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

শুক্রবার থেকে প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকায় যে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে, তার মেয়াদ আরো বাড়বে বলে আশা করছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশাবাদ প্রকাশ করেছেন তিনি।

বর্তমানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের নানটুকেট দ্বীপে ছুটি কাটাচ্ছেন বাইডেন। সেখানেই আয়োজন করা হয়েছিল এই সংবাদ সম্মেলনের।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমেরিকার বিস্তৃত কূটনৈতিক তৎপরতার ফলে গাজা উপত্যকায় চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়েছে এবং আজ সকাল থেকে তা কার্যকর হয়েছে । আমি সকাল বেলাতেই ওই অঞ্চলের অনেক নেতার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি এবং আশা করছি, এই বিরতির মেয়াদ আরো বাড়বে।

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর কতদিন বাড়তে পারে— এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি জানি না ঠিক কতদিন তা বাড়তে পারে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আরব বিশ্ব যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, এই যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ হ্রাস করতে যেভাবে বিভিন্ন দিক থেকে চাপ প্রয়োগ করছে, তাতে আশা করা যায় যে শিগগিরই সেখানে যাবতীয় সংঘাতের অবসান আমরা ঘটাতে পারব।

গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। 

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে আমেরিকা, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন।

হামাসের এই হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ১৬ অক্টোবর থেকে তাতে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ হাজার। আর গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন।

টানা প্রায় দেড় মাসে যুদ্ধ চলার পর কাতারের মাধ্যমে নভেম্বরের মাঝামাঝি ইসরায়েলকে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠায় হামাস। সে প্রস্তাবে বলা হয়, ইসরায়েল যদি গাজা উপত্যকায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে, রাফাহ ক্রসিংয়ে অপেক্ষারত ত্রাণ, জ্বালানি ও মানবিক সহায়তা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে প্রবেশ করতে দেয় এবং ইসরায়েলি কারাগারগুলো থেকে অন্তত ১৫০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়, তাহলে নিজেদের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে থেকে ৫০ জনকে ছেড়ে দেবে হামাস।

আরো পড়ুন: প্যালেস্টাইনের ৩৯ নাগরিককে মুক্তি দিলো ইসরায়েল

প্রথমদিকে এই শর্ত আমলে না নিলেও পরে ইসরায়েলের নাগরিক, জিম্মিদের পরিবারের সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ২১ নভেম্বর সেই প্রস্তাবে সায় দেয় প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা।

সেই অনুযায়ী শুক্রবার স্থানীয় সময় ৭টা (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা) থেকে শুরু হয়েছে যুদ্ধবিরতি। বিরতির প্রথম দিন ২৪ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস; আর ইসরায়েরের ডেমন ও মেডিগো কারাগার থেকে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে ছেড়ে দিয়েছে ইসরায়েল।

সূত্র : রয়টার্সে

এসকে/


জো বাইডেন ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি প্যালেস্টাইন

খবরটি শেয়ার করুন